শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, বন্যা-নদী ভাঙন আতঙ্কে মানুষ ◈ ছাত্রলীগের হামলায় মানসিক ভারসাম্য হারানো ছাত্রদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান ◈ এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাইলো দুদক ◈ ‘গণঅভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে বাংলাদেশ’ ◈ এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিস্ফোরক মন্তব্য ◈ ঢাকা চাঁদার বাজার কারওয়ান বাজার, প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে! ◈ জুলাই সনদ সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেলে খারাপ নজির তৈরি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ মোবাইল থেকেই যেভাবে করবেন টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন ◈ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান ◈ এখনও কি ফোনে আড়ি পাতছে সরকার?

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:১৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাহিদা অনুযায়ী বছরে সাড়ে ১১ হাজার শ্রমিকের কোটা পূরণে ব্যর্থ বাংলাদেশ

২০২২ সালে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ২৪৮ জন বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী কাজের জন্য প্রতিবছর সাড়ে ১১ হাজার শ্রমিক নেয়ার কোটা নির্ধারণ করে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে দেশটির চাহিদা অনুযায়ী কখনই শ্রমিক সরবরাহ করতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ। গড়ে প্রতিবছর আড়াই থেকে তিন হাজার শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হয়েছে। একবার সংখ্যাটি পাঁচ হাজারের কাছাকাছি গেলেও কোটা পূরণ করা যায়নি কখনোই। সূত্র: চ্যানেল 24

শ্রমবাজারে এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আগামী ২৬ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসাল্টেশন্স (এফওসি)। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক ইউনজু।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে শ্রমিক রপ্তানি, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন সহজীকরণ নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে। ভাষাগত দক্ষতা ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জটিলতার কারণে কোরিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিভাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে কোটার চাহিদা পূরণ করা যায়, তা নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করবে।

শ্রমবাজারের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির অন্তত ১১১টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ২১০টির বেশি অবকাঠামোগত প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোরেলের একটি লাইনের কাজ পেতে আগ্রহী তারা।

এ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) থেকে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। ইতিমধ্যে ২৭টি প্রকল্পে ০.০১ থেকে ০.০৪ শতাংশ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য প্রায় দেড়শ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে কোরিয়া। নতুন করে বাংলাদেশের জন্য ৩০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

বাংলাদেশ সরকার চায়, ইডিসিএফ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট সহায়তা (ওডিএ) পাওয়া। আসন্ন বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়