শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪৭ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘নির্বাচনের আগে সীমিত রদবদল, অপরাধ হটস্পটে নজর দিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ’

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের আগে রদবদল হবে, কিন্তু সব জায়গায় যে রদবদল হবে, এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানে রদবদল হবে।’ সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনের আগে অপরাধের হটস্পটগুলো দ্রুত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে চিহ্নিত করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে কী ধরনের বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া যেতে পারে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্যও বলেছেন। বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একটা সিচুয়েশন রিপোর্ট যেন কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠানো হয়— যাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন যে, মাঠের পরিস্থিতি কী এবং সে অনুযায়ী যাতে পদক্ষেপ নিতে পারে— সেজন্য কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আজকে প্রশাসনে রদবদল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কীভাবে নির্বাচনের আগে রদবদল হবে— সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। দুই ঘণ্টার বৈঠকে সামনে নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন এবং সে অনুযায়ী আমরা আরও কী কী কাজ করতে পারি, সেগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। প্রথমত আলাপ হয়েছে সমন্বয় বাড়ানো নিয়ে। আর্মি, পুলিশ এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন— এদের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে। স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য জোর দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিচালক বলেছেন, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচুর অপতথ্য  অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার— যেখানে দ্রুততার সঙ্গে এ অপতথ্যগুলো তুলে ধরতে পারবো, সেটা প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিন আগে পুলিশের যে কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে— প্রধান উপদেষ্টা সেখানে একটি মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। যাতে করে খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনও তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং সেখানে যেন প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো যায়। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন— পুলিশের কাজগুলো অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, মিডিয়া সেন্টার না থাকার কারণে। পুলিশ অনেক ভালো ভালো কাজ করছে, অনেক জায়গায় হস্তক্ষেপ খুব দ্রুতই করছে, কিন্তু এ বিষয়গুলো অনেকের কাছে অজানা থাকছে।’

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ৫ আগস্টের পর থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও আছে। আমরা আশা করছি, এই নির্বাচনের সময় তাদের একটা বলিষ্ঠ ভুমিকা থাকবে, তারা মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার কাজ নিয়েও আলাপ হয়েছে। নির্বাচনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার মধ্য কোনও ধরনের দুর্বলতা যেন না থাকে, সেজন্য বলা হয়েছে। এখেত্রেও যাতে সমন্বয় ভালো হয়, সেজন্য বলা হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়