শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৫৬ রাত
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শহীদ আবু সাঈদের আদর্শ ছিল সত্য ও ন্যায়ের: ড. আসিফ নজরুল

বাসস।। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, শহীদ আবু সাঈদের আদর্শ ছিল সত্য ও ন্যায়ের। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। 

আজ বুধবার দুপুরে শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বহু মানুষ বহু ভাবে মারা যায়। কিন্তু আবু সাঈদের মতো এভাবে কেউ মারা যাননি। আবু সাঈদের আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের ১ হাজারের বেশি তরুণ আত্মাহুতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি নিজেকেই প্রশ্ন রেখে বলেন, এতবড় আত্মদানের যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার সাধ্য কি আমাদের আছে? আসলে নেই, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। 

তিনি বলেন, আবু সাইদ হত্যার জন্য স্পষ্টভাবে যে দু‘জন পুলিশ কনস্টেবল দায়ী ছিল, তারা দু‘জনেই গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই বিচার কাজ পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। এখানে কারও কোন রকম গাফিলতি নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সরকারের শাসনামলেই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিচার আপনারা দেখে যাবেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন,  শেখ হাসিনা কথায়-কথায় তার বাবার মৃত্যুর কথা বলতেন। এরপরও তার বাবার হত্যার বিচার করতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। আমরা শেখ হাসিনার আমলের মতো যেনতেন বিচার করতে আসিনি। আমরা সারা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন একটি বিচার করতে চাই। 

উপদেষ্টা বলেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা ১৬ তারিখে দেখিনি। পরদিন ১৭ জুলাই বিকেলে দেখেছি। যে ছেলে এভাবে মরতে পারে একজন অভিভাবক হিসেবে বসে থাকতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল, আমাদের আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আবু সাঈদের আদর্শ ছিল সত্য ও ন্যায়ের। মৃত্যুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকত আলী।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়