নুরুল হুদার গ্রেপ্তারের পর এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তারের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতে রাজধানী থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের তথ্য তাদের কাছে নেই। অর্থাৎ ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
রোববার (২২ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।
জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া বিএনপির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও একই দলের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের অংশগ্রহণে ভোটগ্রহণের বৈধতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনের দিনে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার জানানো হয়েছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা এক ঘণ্টার ব্যবধানে ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়। তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেই প্রথমে ২৮ শতাংশ বলে পরে তা সংশোধন করেন।
এই নিয়ে বিএনপি একটি মামলা করে, যেখানে হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি সাবেক সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও উল্লেখ করা হয়। মামলায় ভোট কারচুপি, নির্বাচন প্রভাবিত করা এবং স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।
রাতভর সামাজিক মাধ্যমে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোনো কর্মকর্তা এখনো তা নিশ্চিত করেননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে।