‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দুপুরে আলোচনায় বসছে সরকার। একই সঙ্গে অধ্যাদেশটি পর্যালোচনার জন্য একটি ১৩ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও চলছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও কর্মচারী নেতাদের থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চতুর্থ দিনের মতো মঙ্গলবারও তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে মঙ্গলবার সচিবালয় ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সাতজন সচিব ও আন্দোলনরত কর্মচারীদের তিনজন প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা হবে।
জানা গেছে, সচিবালয়ে কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ বেশ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে জরুরি সভা করেন। ওই সভায় সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বৈঠকে ডেকেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ভূমি সচিব আমাদের সভায় ডেকেছেন। তার সঙ্গে বৈঠকের ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমরা আন্দোলন অব্যাহত এবং আরও কর্মবিরতিতে যাবো কি না- তখন আপনাদের জানিয়ে দেব।
অন্যদিকে সংযুক্ত পরিষদের অপর অংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, ওই বৈঠকে ভূমি সচিব ছাড়াও আরও সাতজন সচিব উপস্থিত থাকবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হলে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে সচিবালয়ে সবগুলো সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ শুরু হয়। অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তারা নানা স্লোগান দিয়েছেন। কর্মচারীদের আন্দোলন ঘিরে সচিবালয়ের ভেতরে বিজিবি মোতায়ন ছিল।
বন্ধ ছিল দর্শনার্থীদের প্রবেশ। সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত সাংবাদিকরাও সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। উৎস: জাগোনিউজ২৪