শিরোনাম
◈ কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ ◈ যেসব মামলা হচ্ছে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া না গেলে বাদ যাবে নাম : পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা ◈ বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন ◈ আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জন, গুলিতে মৃত্যু বেশি : এইচআরএসএস ◈ যাত্রাবাড়ীতে ট্রাফিক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত ◈ কক্সবাজারে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস-মারধর করল যুবক, উল্লাস জনতার ◈ গ্রেফতার হওয়ার পরে যা বলেছিলেন ফারাজ করিমের বাবা (ভিডিও) ◈ খেলার জগৎ নয়, আমাকে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরবে চালু হলো ই-পাসপোর্ট ◈ গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে স্থানীয়দের হামলা, আহত ৩০ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:২১ রাত
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য এলাকাকে এখন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেয়া ঠিক হবে না : পার্বত্য উপদেষ্টা

অনিস তপন : বৈষম্য দূর করা এবং সকলের জন্য সমান অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠাসহ সাম্যের দেশ গড়াই হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ।  

পার্বত্য এলাকাকে এখন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেয়া ঠিক হবে না। 

সোমবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। 

ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন চারপাশে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী ছিল না। তখন থেকে চিন্তা করেছিলাম আর পাহাড় এলাকায় ফিরে যাবো না, মেইনস্ট্রিমে থাকবো। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টেনে তুলবো। সেই ইচ্ছাটাই এখন পূরণ করতে হবে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পাহাড়ি এলাকায় আম, আনারস, পেঁপে চাষ এখন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। এখানকার মানুষের আয় ও জীবিকার সংস্থান হচ্ছে। 

আমাদের চারপাশে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের বাস।  এখানকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমাদের জন্য ইনক্লুসিভিটি এখন খুব বেশি প্রয়োজন। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এখানকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ১৯৯৭ এর পার্বত্য চুক্তি ছিল মূলত নেগোশিয়েশন বা সমঝোতাভিত্তিক চুক্তি। তাই এটাকে শান্তি চুক্তি বলি না, এটাকে পার্বত্য চুক্তি বলি। এ বিষয় নিয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হওয়া উচিত। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বেশির ভাগ মানুষই ইচ্ছুক ছিল। সবাই শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই শান্তির প্রত্যাশায় সকলেই ভালো দিকগুলো গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক।

দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছি। 

পার্বত্যবাসীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। পাহাড়ি বাঙালি সবাই উন্নয়ন চায়। তাই সকলেই সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। দেশের উন্নয়নে সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে। 

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা সকালে সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে জাতীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়