খুররম জামান : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর তিনটায় বৈঠক রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চলমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতদের ডাকা হয়েছিল ব্রিফ করার জন্য, এই সরকারের উদ্দেশ্য, কোন প্রেক্ষাপটে এসেছে সে বিষয়ে। আমরা বলেছি রেভ্যুলেশনে যে পরিবর্তন এসেছে সেটা যারা এনেছে তাদের কিছু চাহিদা ছিল বৈষম্যহীন একটি অবস্থা প্রতিষ্ঠা তারা চেয়েছেন, এই সরকারের উদ্দেশ্য সেটাই। সেজন্যই এই সরকার কাজ করছে। আমরা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সহায়তা চেয়েছি। তারা তো এগিয়ে এসেছে, ওয়েলকাম করেছে। তারপরও আমরা বলেছি নিয়মিত ইন্টারেকশন চাই, জাতিসংঘসহ সবার সাথে। মানবাধিকার তাদের অনেকের কনসার্ন। আমি বলেছি বৈষম্য না থাকার অন্যতম বিষয় মানবাধিকার। পাশাপাশি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কিছু প্রতিনিধি আছে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে, সেটাও তাদের বলেছি। আমরা মানবাধিকার নিয়ে খুবই সিরিয়াস।
উপদেষ্টা বলেন, তাদের কিছু কিছু সমস্যা যেগুলো হয়েছে সে বিষয়ে আমরা কিছু দু:খ প্রকাশ করেছি, কিছু সমাধানের কথা বলেছি। সিকিরউরিটি নিয়ে কথা হয়েছে। যদিও কোন আক্রান্ত হয়নি কেউ, তবুও তারা তাদের কনসার্ন দেখিয়েছে। তাদের সিকিউরিটি অনেক ক্ষেত্রেই নাই। সেনাবাহিনী কিছুটা নিরাপত্তা দিয়েছে। রাষ্ট্রদূতদের বাসভবনে সিকিউরিটি নেই। এ বিষয়ে বলেছি যেহেতু পুলিশ রাস্তায় নেমে গেছে, নামা শুরু শুরু করেছে সাখাওয়াত সাহেবকে বলব কূটনীতিকদের এই কনসার্ন আছে একটু দেখেন। আমি আজ রাতেই এ কথা বলব।
ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :