শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৪, ০১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিটস্ট্রোকে ১৮ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনে ৬৬ জনের মৃত্যু

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] সদ্যই শেষ হলো মৌসুমের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস এপ্রিল। ৫২ বছরে প্রথমবারের মতো ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার সাক্ষীও হয়েছে দেশের মানুষ। যশোরের এই তাপমাত্রা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।এ মাসে দীর্ঘ তাপপ্রবাহের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এতে যেমন দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তেমনি সারাদেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে অনেক মানুষ।

[৩] হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা যাচ্ছে না কারণ বেশিরভাগ মৃত্যুই চিকিৎসক কিংবা সংশ্লিষ্টদের দ্বারা পরীক্ষিত নয়।এজন্য সরকারি হিসেব ও গণমাধ্যমের হিসেবে রয়েছে অনেক ব্যবধান। আবার হিটস্ট্রোকের ফলে এমন কিছু মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে যা উঠে আসেনি কোনো মাধ্যমেই।

[৪] বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৮ এপ্রিল ৩জন, ১৯ এপ্রিল ৮জন, ২০ এপ্রিল ২জন, ২১ এপ্রিল ১জন, ২২ এপ্রিল ৩জন, ২৩ এপ্রিল ৭জন, ২৪ এপ্রিল ৪জন, ২৫ এপ্রিল ৫জন, ২৬ এপ্রিল ২ জন, ২৭ এপ্রিল ৪জন, ২৮ এপ্রিল ১১ জন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ৩০ এপ্রিল ১০ জন এবং ১ মে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবছর সর্বোচ্চ ১১জন হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন ২৮ এপ্রিল।

[৫] তবে সরকারি হিসেবে অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এক সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ এপ্রিল) হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৫ জন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করছে সংস্থাটি।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের এই তথ্য দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা সরকারি হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানোর তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এ পরিসংখ্যানে কেবল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের তথ্য স্থান পেয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু অথবা হাসপাতালের বাইরের মৃত্যুর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে আসেনি।

[৫] গণমাধ্যমে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মৃত্যুই ঘটেছে ঘরের বাইরে, কর্মক্ষেত্রে বা চলতি পথে। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও মৃত্যুর সংখ্যা মোটে ৫টি। অবশ্য কিছু মৃত্যুর স্থান বা অবস্থা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। মৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। ২৪ থেকে ২৮ এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী ২১ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী হিটস্ট্রোকে মারা যান। এদের মধ্যে বয়সের বিচারে ১৪-৩০ বছর বয়সী ৫জন, ৩১-৪০ বছর বয়সী ৫জন, ৪১-৫০ বছর বয়সী ৭জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ জন ও ৬১ বছরের অধিক বয়সী ২ জন মারা গেছেন। 

[৬] এপ্রিলে উষ্ণতার নিরিখে নিয়মিত হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এবছর ৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ৭২ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি করে অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নানান মেয়াদে সাত দফায় এই এলার্ট জারি করা হয়। যা সব মিলে দাড়ায় মোট ২১ দিন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সম্পাদনা: এম খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়