শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আপডেট : ০৩ মে, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের নিজের দান করা কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পেয়েছেন দুইজন অন্ধ মানুষ। তারা হলেন রংপুরের মশিউর রহমান ও চাঁপুরের আবুল কালাম।গত ২০ এপ্রিল সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে আবুল কালামের অপারেশন করেন ডা. শীশ রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মশিউর রহমানের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেন ডা. রাজশ্রী দাস। চ্যানেল ২৪ অনলাইন

[৩] এ বিষয়ে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সমন্বয়ক মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা দুই অন্ধ ব্যক্তি বর্তমানে পৃথিবীর আলো দেখতে পাচ্ছেন। তবে পুরোপুরি কার্যকর হতে মাসখানেক সময় লাগবে। বর্তমানে দুজনই সুস্থ আছেন।  

[৪] বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশ গত ১৯ এপ্রিল সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মরণোত্তর চক্ষু ও দেহ দান করে গিয়েছেন তিনি। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের দল সেদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর দুটি কর্নিয়া সংগ্রহ করে। সূত্র: প্রথম আলো

[৫] ১৯৮৪ সালে থেকে অন্ধ মানুষরা যেন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাশে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। এ পর্যন্ত ৩৫১০ জনকে পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নিবন্ধন করে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনে আগ্রহী ব্যক্তিরা এ সুবিধা নিতে পারেন।

[৬] প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছাত্রদের পক্ষে পতাকা উড়িয়েছিলেন ছাত্রনেতা তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রবসহ অন্য নেতারা। দেশ স্বাধীনের আগে এই পতাকার নকশাকারদের অন্যতম ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশ। জাতীয় পতাকার সবুজ জমিনে বাংলাদেশের যে হলুদ মানচিত্র ছিল, তা অঙ্কন করেছিলেন তিনি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়