মনিরুল ইসলাম: জাতীয় সংসদে আবারও গান গাইলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও আবৃত্তিকার আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় তারা দুজনই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য গান ও কবিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পদ্মা সেতু ও সরকারপ্রধান নিয়ে গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন তারা।
বাজেট আলোচনায় দেশের জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ প্রথমেই ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যার তুলনা নাই/এমন একজন নেত্রীর জন্য আমি দোয়া চাই’ বলে গান গেয়ে ওঠেন।
পরে নিজ বক্তব্যে মমতাজ বিএনপির সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এখন নারীরা শাড়ি-গয়না চায় না। এরপর তিনি আবার গেয়ে ওঠেন, ‘চাই না গয়না, চাই না শাড়ি/নৌকাতে ভোট না দিলে, যাবো চলে বাপের বাড়ি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছেন জানিয়ে মমতাজ বলেন, সেখানে আমার পাঙ্খা পাঙ্খা গানের সঙ্গে একটা মেয়ে খুব সুন্দর নাচছিলো। অনুষ্ঠানশেষে মেয়েটি আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে আসলে আমি বলেছিলাম, তুমি কী নাচ শিখেছো?
মেয়েটি আমাকে বলে, আপনি আমারা বাবাকে চিনবেন। তিনি আপনার কলিগ। আমি জানতে চাইলাম কে? মেয়েটি জানালো, তার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব (বিএনপির সংসদ সদস্য), যোগ করেন মমতাজ। তার এ কথার পরই সংসদে হাসির রোল ওঠে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ সময় হাসতে দেখা যায়।
সংসদে বিএনপির হারুনুর রশীদ তার বক্তব্যে কোরান-হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মমতাজ বলেন, আমরাও কোরান-হাদিস পড়ি। ছয়টি হাদিস গ্রন্থ আমি পড়েছি। আমি ও আমার মা-বাবা হজ করেছেন। এগুলো ধারণ করার বিষয়, প্রকাশ করার নয়। আমার বাবা বাউল। আমরা ধর্মভীরু, ধর্মান্ধ নই।
আপনার মতামত লিখুন :