শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২২, ১০:৩২ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২২, ১১:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘে র‌্যাপোটিয়ারের দাবি অর্থহীন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

খালিদ আহমেদ: জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার আইরিন খান বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রীর দাবি আইরিন খান একচোখা। তিনি যে দেশে বসবাস করেন, সেই যুক্তরাষ্ট্রেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন রয়েছে। কিন্তু সেসব বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ৮০ জন র‌্যাপোটিয়ারের মধ্যে একজন আইরিন খান যিনি আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন, দেশে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যার সময় নিশ্চুপ ছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করার সময় বিবৃতি দেন নাই, তিনি একচোখা নীতি নিয়ে কী বললেন সেটি গুরুত্বহীন।

হাছান মাহমুদ দাবি করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এবং অনেক সাংবাদিকও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আশ্রয় নিয়ে মামলা করেছেন এবং ফল পেয়েছেন। তিনি বলেন, এই আইনের কোনো অপপ্রয়োগ যেন না হয়। শুধু সাংবাদিক নয়, কেউই যেন অহেতুক নিগৃহীত বা হয়রানি না হয় সেটি নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন। সেটির সঙ্গে আমি শতভাগ একমত।

কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো ঘটনা নজরে এলে তিনি নিজে  থেকে এর সমাধান করার চেষ্টা করেন বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘বরং এখন আর আগের মতো কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা যায় না, সে জন্য অনুমতিরও প্রয়োজন হয়।’

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের আইন রয়েছে বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, আইরিন খান যে দেশের বাসিন্দা, সেই ব্রিটেনে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে একটি-দুটি নয়, কমপক্ষে আটটি আইন রয়েছে। ব্রিটেনের ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০১৮, কমিউনিকেশন্স অ্যাক্ট ২০০৩, প্রাইভেসি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন্স রেগুলেন্স ২০০৩, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম রেগুলেন্স ২০১৮, রেগুলেন অফ ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ারস অ্যাক্ট ২০০০, কমিউটার মিসইউজ অ্যাক্ট ১৯৯০, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯৮৯, ম্যালিশিয়াস কমিউনিকেশন্স অ্যাক্ট ১৯৮৮ রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় সেগুলো ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার আইনেও রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়