‘আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ যেটা আসছে, তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। সেই রাষ্ট্রের যদি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না’- বলে মন্তব্য করেছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।
রোববার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটা অস্থির সময়। কঠিন সময়। দেশটা দু’ভাগে বিভক্ত। বিভাজনের মধ্যে কথা বলাও খুব ডিফিকাল্ট (কঠিন)। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুবই ভালো লেগেছে এই কারণে- বিএনপির যে তিনজন নেতা বক্তৃতা করেছেন, আগামী দিনে দলটি ক্ষমতায় এলে মিডিয়া পলিসি কী হবে? সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রিজভী আহমেদ দুজনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। আমি খুবই আশাবাদী হতে চাই- আগামী দিনে যদি এর সিকিভাগ বাস্তবায়িত হয়। কারণ হলো এই অস্থির সময়ে আমরা সবাই কিন্তু অস্থির।
মিডিয়াও অস্থির, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কথা বলাও এখন ডিফিকাল্ট। সে কারণে বলছি, যদি মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে, তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন তাহলেই বোধহয় বাংলাদেশের মিডিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কারণ অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে। তারেক রহমান এমন এক সময়ে আসছেন, যখন বাংলাদেশের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। মানুষ নিজেকে নিরাপদ ভাবতে চায়, কিন্তু মানুষ এখন তা ভাবতে পারছে না। চারদিকের পরিস্থিতি যেভাবে যাচ্ছে আমরা যখন কথা বলছি, তখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ। দিল্লিতে আমাদের হাই কমিশনারের বাসভবনে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রহরীরা।
মতিউর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর উপর হামলা হলো। এরপরে কী হবে কেউ জানে না। সে কারণে এই অবস্থায় বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা সবচাইতে বেশি। বিএনপি মানুষের পাশে থাকবে। তারেক রহমান আসবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি দেবেন। সেটা আমি জানি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে- আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আমাদের কথা বলতে দিন। আপনারা যদি এটা নিশ্চিত করেন , সাধুবাদ জানাবো। আর নাহলে আবারও হয়তোবা আমরা আপনাদের সমালোচনা করব। কিন্তু এই সমালোচনা যেন হঠকারীতায় পরিণত না হয়, সেই দিকটাও দেখতে হবে আমাদের।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় আজকে এখানে আমরা যারা সমবেত হয়েছি, আমাদের সহকর্মীরা, সবাই এই কথাই বলবেন- আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ যেটা আসছে, সেটাকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ না হই রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। সেই রাষ্ট্রের যদি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না। আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যত, তারেক রহমানের আগমনকে আমি শুভেচ্ছা জানাই, আমি মনে করি তিনি এলে বাংলাদেশের চেহারা হয়তোবা পাল্টে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেনসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এতে দেশের জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সূত্র: মানবজমিন