ডেক্স রিপোর্ট: পেয়ারা, যা সারা বছর পাওয়া যায়। বাংলাদেশি এই ফল সহজলভ্য ও দামে কম। সাধারণত অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারার পুষ্টিগুন অনেক বেশি। পেয়ারায় ভিটামিন সি এর পরিমাণ প্রচুর যা আমলকী ছাড়া অন্য যেকোনো ফলে পাওয়া যায় না।
পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ পেয়ারার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, পেয়ারা সকলের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিছু কিছু সমস্যা থাকলে বেশি পেয়ারা খাওয়া যায় না?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেয়ারা খেলে উপকার মেলে, কিন্তু অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে পেটফাঁপা বা হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পেয়ারায় থাকা অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ় রক্ত শোষণ করতে না পারলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
পেয়ারায় পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা থাকলেও পেয়ারা খেতে বারণ করা হয়। পেয়ারার মধ্যে অক্সালেট রয়েছে। যা কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশির দিকে। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
পেয়ারায় পানির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের জন্য পেয়ারা সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে সকালে নাস্তা খাওয়ার পর পেয়ারা খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। কিন্তু, দুপুর-বিকেলের পর পেয়ারা খাওয়া চলবে না।
পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ এত বেশি যে তা হজমের সমস্যা করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাবার ভালো করে হজম না হলে নতুন মায়েদের শরীরে স্তন্যদুগ্ধ উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।
আইএফ