শীতে খেজুর খাওয়া আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো। কারণ আপনার শরীরকে উষ্ণ, শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে খেজুর। এতে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজপদার্থে ভরপুর রয়েছে। আর সে কারণে এ ফলটিকে একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড হিসেবে গণ্য করা হয়। আপনি যদি শীতকালে খেজুর খান, তবে ছয়টি উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, খেজুর খেলে যে উপকার পাবেন—
১. প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক
খেজুর একটি প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক ফল। এতে খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা, যা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে থাকে এবং শীতকালীন অলসতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি দুর্দান্ত ফল।
২. হজমশক্তির উন্নতি
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফাইবার, যা আপনার হজমপ্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিনে (ভিটামিন বি৬) পরিপূর্ণ খেজুর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে, যা ঠান্ডা ও ফ্লুর মতো শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৪. হাড়ের স্বাস্থ্য
খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মতো খনিজপদার্থ, যা আপনার হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে হাড়ের ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমতে পারে।
৫. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ
খেজুর আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
৬. ত্বকের যত্ন
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে এবং শুষ্ক হয়ে যায়। আপনার যদি নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন এবং প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
উল্লিখিত কারণে শীতে খেজুর খাওয়া ভালো। বেশি উপকৃত হবেন। তবে অনেকেই ভাবেন খেজুরে ক্যালোরি বেশি এ কারণে খাওয়া উচিত নয়। তবে মনে রাখবেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়, আপনি যদি পরিমিত খেজুর খান, তাহলে লাভবান হবেন। প্রতিদিনের শীতকালীন রুটিনে মাত্র দুটি খেজুর রাখলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন। আর খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
সূত্র: যুগান্তর