শিরোনাম
◈ জুলাই-আগস্টে গণহত্যা: হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল (ভিডিও) ◈ জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা; মধ্যরাতে রুদ্ধশ্বাস আড়াই ঘণ্টা, সেনা জেরায় এনসিপি ও বিএনপি নেতারা ◈ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর যা বললেন জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির (ভিডিও) ◈ সৌদি আরবের ‘পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নয়, নারীদের জন্য নরক: গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন-নির্ভর শাসনের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস ◈ দায়িত্ব পেলে আজই হতো ইশরাকের মেয়র পদের শেষ দিন! ◈ এবার ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার! ◈ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির ◈ দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে দু-মুখো সাপ লিখে ছাত্রলীগ সভাপতির নেতার পোস্ট! ◈ নিউ ইয়র্ক, দিল্লি কিংবা বেজিং নয়, জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম শহর জাপা‌নের টো‌কিও

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০৩:২৪ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদিআরবে বাংলাদেশি হাজীদের দুঃখ দুর্দশাা শেষ হবে কবে?

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু : বর্তমান সরকারের আমলে হজ মৌসুমে বাংলাদেশি হাজীদের জন্য সুব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও বাস্তবে ভিন্ন  চিত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক হাজী উক্ত প্রতিবেদকের সাথে টেলিফোনে বলেন খাবার ও থাকার জায়গায়  ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খাবার নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও লজ্জাজনক। প্রতিদিন খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে খাবার পরিবেশন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। যেসব শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের কেউ কেউ ভিসা ও আকামা জটিলতার কারনে ধরা পড়েছেন,। কেউবা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। অনেকে খাবার রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন—এ যেন এক নিষ্ঠুর খেলা।

বাংলাদেশী হাজিরা মনে করেন সৌদি সরকারের উচিত ছিল বাংলাদেশি হাজীদের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা সহজ করা।অথচ বাস্তবে ঘটছে তার বিপরীত। এখনো যারা সেবা দিচ্ছেন, তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে হাজীদের খাবার নিশ্চিত করাই কঠিন হয়ে যাবে।

হজ ব্যবস্থাপনায় অতীতে যে শৃঙ্খলা ছিল, করোনার আগে যা আমরা দেখেছি, সেই পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। একসময় মুয়াল্লিম ফি ছিল মাত্র ২০,০০০ টাকা, এখন মিনার ডি-গ্রুপে সেই একই সেবার জন্য নেওয়া হচ্ছে ১,৫০,০০০ টাকা! এ কেমন অবিচার?

আগে প্রতিদিন জমজমের পানি সরবরাহ করা হতো, গত বছর একদিন দিয়ে আর দেয়নি। আর এ বছর তো এখনো একদিনও দেওয়া হয়নি। হাজীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক হারে বাড়ি ভাড়া, নিত্যনতুন খাত আবিষ্কার করে আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাজীরা পড়ছেন একের পর এক ঝামেলায়।

হেরেম শরীফে যাওয়া ও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। জায়গায় জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়ে হাজীদের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাজীদের ক্লান্ত করে তোলা হচ্ছে। অথচ আগেও এর চেয়ে বেশি হাজী আসতেন, তবু এত প্রতিবন্ধকতা ছিল না। হাজীদের প্রশ্ন আজ কেন?

হাজীদের উপর ১৭% ভ্যাট চাপানো, প্রতিটি জিনিসে ১৫% কর আরোপ—এসবের যৌক্তিকতা কোথায়?

এত চেকপোস্ট, এত প্রশ্ন—জেদ্দা বা তায়েফ থেকে মক্কা ফিরতে হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একাধিক স্থানে চেক করা হয়। একটি বিভাগ জানে না অন্যটি কী করেছে। সমন্বয়ের অভাবে হাজীরা হচ্ছেন হয়রানির শিকার।

হোটেলগুলোতে দিন-রাত হাজীদের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যেন হাজীরা অপরাধী! প্রতিটি হজ গ্রুপকেই অসংখ্য অনর্থক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। এটা জুলুম—আর জুলুমেরও একটা সীমা থাকা দরকার বলে হাজীরা মনে করেন। তারা আরও বলেন এ বিষয়ে  বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় কে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া দরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়