শিরোনাম
◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ◈ আজ গভীর রা‌তে বা‌র্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মু‌খোমু‌খি ◈ প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)  যেভাবে ভুল শুধরে দিতেন

মানুষ ভুল করে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কারও ভুল ধরিয়ে দিলে অনেকেই তা শুধরে নেন। বিপত্তি ঘটে যখন কেউ ভুল ধরিয়ে দিতে গিয়ে অপমানিত করে ও তিরস্কার করে। যা একজন মুসলিমের জন্য শোভনীয় নয়।

কাউকে সবার সামনে অপমানিত করে ভুল শুধরে দেয়ার পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) কখনোই ভুল শুধরে দিতে কঠোরতার পথ বেছে নেননি। কেউ ভুল করলে একান্তে ডেকে নরম ভাষায় বা ইঙ্গিতে ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।

 হজরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম আস-সুলামি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি রসুলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়। আমি তার উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে ফেলি। উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালে আমি বললাম, ‘তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?’ তখন তারা (বিস্মিত হয়ে) ঊরু চাপড়াতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারলাম, তারা আমাকে চুপ করতে বলছে। আমি চুপ হয়ে যাই।’
 
মুআবিয়া ইবনে হাকাম বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) নামাজ শেষ করে আমাকে (একান্তে) ডাকলেন। তিনি আমাকে কোনো ধরনের তিরস্কার করেননি এবং কোনো কটু কথাও বলেননি। তার চেয়ে উত্তম শিক্ষক আমি কখনো দেখিনি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘নামাজে কথা বলা উচিত নয়। নামাজ হলো তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের সমষ্টি।’ (মুসলিম)
 
এ বিষয়ে হজরত আনাস (রা.) বলেন, একদিন আমরা রসুলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে মসজিদে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ এক বেদুইন এসে মসজিদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে লাগল। তা দেখে সাহাবিরা ‘থামো থামো’ বলে তাকে প্রস্রাব করতে বাধা দিলেন। তখন রসুল (স.) বললেন, তোমরা তাকে বাধা দিয়ো না, বরং তাকে ছেড়ে দাও।
 
লোকজন তাকে ছেড়ে দিল, সে প্রস্রাব সেরে নিল। রসুলুল্লাহ (স.) তাকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এটি মসজিদ। এখানে প্রস্রাব করা কিংবা ময়লা-আবর্জনা ফেলা যায় না।’ (মুসলিম ২৮৫)
 
 একজন মুসলিমের সবসময় হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত। হিংসার বশবর্তী হয়ে অন্যের ভুল ধরা উচিত নয়। কেউ যদি অন্যের কল্যাণ কামনা করে ভুল ধরিয়ে দিতে চায় তাহলে যে ভুল করেছে সে কষ্ট পাবে এমন আচরণ করাও উচিত নয়। উৎস: সময়নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়