সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফাহতে পরিকল্পিত স্থল হামলার ব্যাপারে তেল আবিবকে সতর্ক করে দিয়েছেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট। তিনি বলেছেন, রাফাহতে আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলকে চরম আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে যা সামাল দেওয়া তেল আবিবের পক্ষে সম্ভব হবে না। সূত্র : ব্লুমবার্গ, পার্স টুডে
[৩] ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা ওলমার্ট ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমাজের ধৈর্য এমন একটি স্থানে পৌঁছেছে যে, এরপর আর তাদের পক্ষে রাফাহ হামলা সহ্য করা সম্ভব হবে না।’ রাফাহতে স্থল হামলা হলে মিসরের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তিও বিপন্ন হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দেন তিনি। ইহুদ ওলমার্ট বলেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে সেখানে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মোতায়েন করার ওপর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জোর দেওয়া উচিত।
[৪] গাজার মিসর সীমান্তে অবস্থিত রাফাহ শহরকে যুদ্ধের শুরুতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তেল আবিবের ধারনা ছিল, হামাসের সমস্ত ঘাঁটি, সদরদপ্তর ও ইসরায়েলি জিম্মিরা উত্তর গাজায় রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় পাঁচ মাসে তারা উত্তর ও মধ্য গাজার সর্বত্র তন্ন তন্ন করেও হামাসের সদরদপ্তর কিংবা জিম্মিদের খুঁজে পায়নি। এ কারণে ইসরায়েল এখন ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষিত রাফাহ শহরে অভিযান চালাতে চায়। অথচ ইসরায়েলের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সহায় সম্বল হারিয়ে ১৫ লাখ গাজাবাসী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই শহরে সম্ভাব্য স্থল আগ্রাসনের ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে খোদ মার্কিন প্রশাসনও। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ‘যেকোনো মূল্যে’ রাফাহ শহরে অভিযান চালাবেন।
[৫] মিসর সরকার এরইমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাফাহতে অভিযান চালালে শান্তি চুক্তি স্থগিত করা হবে। কায়রো আরো বলেছে, গাজার ২৩ লাখ অধিবাসী রাফাহ দিয়ে প্রবেশ করা ত্রাণের সাহায্যে কোনোমতো বেঁচে আছেন। রাফাহতে আগ্রাসন চালালে ত্রাণ তৎপরতা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালালে উপত্যকার ত্রাণ তৎপরতার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হবে
এসআই/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :