রাশিদুল ইসলাম: [২] দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মেগা মলের অ্যাকোয়ারিয়ামে বেলুগা প্রজাতির তিমি বেলা’র মুক্তির জন্যে জোর আন্দোলন চলছে। মেগা মলের নীচের তলায় কংক্রিটের দেয়াল এবং কৃত্রিম পাথর বিছানো অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রায় এক দশক ধরে নারী বেলুগা তিমির ওই বাসস্থান। সিএনএন
[৩] ২০১৩ সালে রাশিয়ার সমুদ্রসীমায় নৌকার মাধ্যমে তিমিটিকে ধরা হয়েছিল এবং লোটে ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়ামে বিক্রি করা হয়েছিল। এটি সিউলের বৃহত্তম, দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম ধনী এবং বৃহত্তম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পরিচালিত। তিমিটির বয়স প্রায় দুই বছর। বেলার সঙ্গে দুটি পুরুষ বেলুগা জাতের তিমি বেলি ও বেলু, পেঙ্গুইন এবং সিলের মতো অন্যান্য মেরু প্রাণীরাও রয়েছে।
[৪] একটি ১২শ ২৪ টনের ট্যাঙ্কে, যেটির গভীরতা ২৪ ফুট, এসব সামুদ্রিক প্রাণী প্রায়শই দর্শকদের সেলফি এবং টিকটক তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে এসব প্রাণীর ভাবও বেশ। আলোকিত নীল জলে ডাইভিং এবং ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় প্রাণীগুলোকে। তিমিরা কখনও কখনও খেলাধুলা করে আর দর্শকদের গ্যালারি থেকে হাততালি ও তাদের জন্যে ছুড়ে দেওয়া আনন্দসূচক শব্দের কোনো অভাব হয় না। দর্শকরা এসব অভিব্যক্তি জানায় তিমিদের মনোযোগ পাওয়ার আশায়।
[৫] কিন্তু আমেরিকান ডলফিন অ্যাক্টিভিস্ট হেলেন ও’ব্যারি বলেন, বাণিজ্যিক লোভের কারণেই এই ক্যারিশম্যাটিক স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলিকে সামুদ্রিক পার্ক এবং অ্যাকোয়ারিয়ামে আটকে রেখে প্রচুর অর্থ উপার্জনের উৎস করা হয়েছে। এটি তাদের প্রতি অবিচার এবং দর্শকদের কয়েক মিনিটের মজার জন্যে এই ধরনের নিষ্ঠুরতাকে সমর্থন করা যায় না।
[৬] ২০১৬ সালে ৫ বছর বয়সে একটি তিমি মারা যায়। অথচ বেলুগা তিমির গড় আয়ু ৩৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এ মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাণী অধিকার কর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় তুলে এবং তাদের সংগঠন ‘লোটে’ অঙ্গীকার করেছে যে যে বেলাকে মুক্তি দিতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামুদ্রিক জীবন গোষ্ঠী হট পিঙ্ক ডলফিনসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জো ইয়াক-গোল লোটের এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।