ইকবাল খান: [২] সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, জিম্বাবুয়েতে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার জন্যে একটি নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতি অনুযায়ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব ব্যক্তিরা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করে সেসব ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
[৩] বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিম্বাবুয়েতে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে এমন ধরনের কর্মকাণ্ড যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিনষ্ট করা বা নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া; রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা; গণতান্ত্রিক, শাসন, বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর(সিএসও) কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়া; ভোটার, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বা সিএসও’সকে হুমকি কিংবা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর মতো বিষয়।
[৪] জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেছে এমন যে কেউ - ২০২৩ সালের আগস্টের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও- এই নীতি অনুযায়ি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এইসব ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার অধীন হতে পারেন।
[৫] বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি কার্যকর হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিম্বাবুয়ের জনগণের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে যাতে দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করবে।
আইকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :