আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুব কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে জিম্মিদের মুক্ত করে আনার জন্য কাজ করছি। আমরা এখন চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাইডেন বলেন, আমরা এখন খুব কাছাকাছি রয়েছি। শিগগিরই কিছু জিম্মিকে ইসরাইলে আনতে পারি। তবে সবকিছু সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমাদের অনেক কিছু বলার আছে, আমরা বলবো। তবে এই মুহূর্তে সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন; যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আর এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে চার থেকে পাঁচদিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকার্তা বিবিসিকে বলেছেন, চার দিনে ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরাইলের সব নিরাপত্তা সংস্থা, সেইসঙ্গে সামরিক এবং গোয়েন্দা বাহিনীগুলো প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে মত দিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’। এমনটাই বলছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। এ নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে ইসরাইল। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) বৈঠকে বসছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করছেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে তিনটি বৈঠক করবেন মন্ত্রীরা। চুক্তি চূড়ান্ত করাই হবে এসব বৈঠকের মূল লক্ষ্য।
হামাসের হাতে ইসরাইলের দুই শতাধিক নাগরিক বন্দি রয়েছে। যাদেরকে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলার পর জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপরই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :