শিরোনাম
◈ ফেব্রুয়ারি এখন নোংরামির মাসে পরিণত: শায়খ আহমাদুল্লাহর সতর্কবার্তা ◈ দুই কুমিরের মারামারিতে এক কুমির আহত ◈ জয় বাংলা স্লোগান ও তসলিমার বই বিক্রি, বের করে দেওয়া হলো লেখককে ◈ আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের হুঁশিয়ারি ◈ নির্বাচনের কথা শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়: মির্জা আব্বাস  ◈ দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা আবারও তাদের তাগাদা দিয়েছি : মির্জা ফখরুল ◈ অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : মির্জা ফখরুল  ◈ আয়ারল্যান্ডের কাছে জিম্বাবুয়ের পরাজয় ◈ ইতিহাসের পাতায় ব্রিটজকে ◈ সিরাজগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ০১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেকই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দখলে

ইমরুল শাহেদ: [২] আড়াই বছরের শাসনকালে সম্ভবত এবারই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হলো মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে। সেনা সরকার-বিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধারা একজোট হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দেশের অর্ধেকাংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতি যে খুব একটা অনুকূলে নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে জান্তা সরকারের প্রতিক্রিয়ায়। সরকারের প্রেসিডেন্ট মিয়ে সুয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এভাবে অস্থিরতা তৈরি করা হলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। অশান্তির জেরে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালাচ্ছেন মিয়ানমারের বহু নাগরিক এবং সেনাবাহিনীর কোনো কোনো ব্যাটেলিয়ন। সূত্র: আনন্দবাজার

[৩] ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহ ঘটিয়ে মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারি করেছিল সেনাবাহিনী। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নানা প্রান্তে শুরু হয় বিদ্রোহ। সম্প্রতি মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়্যান্স আর্মি, তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি হাত মিলিয়েছে। এই তিন গোষ্ঠীর জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ওই গোষ্ঠীর প্রবল সংঘর্ষ চলছে। 

[৪] সাম্প্রতিক কালে তিন গোষ্ঠীর জোটের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রথম সংঘাত ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। লড়াই হয় দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। দ্বিতীয় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। সে সংঘর্ষে দক্ষিণ-পূর্বের একটি বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। সম্প্রতি আরাকান আর্মি একটি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে।

[৫] পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে যদি তিন গোষ্ঠীর জোট মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থল, বিশেষ করে মান্দালয়ের উত্তরে সংঘর্ষ শুরু করে। প্রশ্ন হল, ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর সাফল্য কি মিয়ানমারের বিরোধীদের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে কিনা। যদি তাই হয় তাহলে সামরিক সরকারের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

[৬] দেশে অশান্তির জন্য ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-কে দায়ী করেছেন তিনি। অনেকেই মনে করেছেন, এটা জান্তা সরকারের শেষের শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, বাণিজ্যিক কারণে জান্তা সরকারের পাশে রয়েছে চীন প্রশাসন। কিন্তু ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই বাড়বাড়ন্ত বেইজিংয়ের সমর্থন ছাড়াও সম্ভব নয়।

আইএস/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়