সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ২২তম অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ বেড়েছে। বর্ণবাদের কারণে সেখানে সহিংসতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নতুন এক গবেষণায় বিশ্বের সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাম এসেছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
[৪] প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশগুলোতে রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা বেড়েছে। এতে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর সহিসংতা ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার।
[৫] এসিএলইডি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সহিংসতাপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত এ তালিকায় শীর্ষে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তকমা পেয়েছে মিয়ানমার। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া। এছাড়া ব্রাজিল, ইয়েমেন, ইরাক, কঙ্গো এবং কলম্বিয়া রয়েছে শীর্ষ দশে থাকা দেশগুলোর মধ্যে। তালিকার শেষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
[৬] তালিকায় ‘উচ্চ’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় ভারত ১৬তম এবং পাকিস্তান ১৯তম স্থানে রয়েছে। সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৫০তম।
[৭] তবে, এই ৫০টি দেশকে, উচ্চ মাত্রার সংঘাতের কারণে ‘চরম’, ‘উচ্চ’, বা ‘অশান্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসিএলইডি’র যোগাযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রমাণ করে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র বা অগণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়। তার দাবি, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভাজন; বিশেষ করে, এই দুটি সূচকের অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ তালিকায় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :