শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: নিবন্ধন ও জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন ◈ দিন-দিন বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে, সমাধান কী? ◈ পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষের মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার! ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ‌কে হা‌রি‌য়ে শিরোপা জ‌য়ের দ্বারপ্রা‌ন্তে বা‌র্সেলোনা ◈ দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির ◈ বজ্রপাত ও ঝড়ে সারাদেশে একদিনে ১৪ জনের মৃত্যু ◈ লোকসানে ধুঁকছে পুঁজিবাজার, বন্ধ ৩০ হাজার অ্যাকাউন্ট, নিষ্ক্রিয় ৫৭ হাজার বিনিয়োগকারী! ◈ কীভাবে বিদেশে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, তদন্তে তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:৩৩ সকাল
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪১ বছরে ৫৫০ সন্তানের জন্মদাতা!

জোনাথন জ্যাকব মেইজের। ছবি- দ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র ৪১ বছর বয়সে ৫৫০ জন সন্তানের জন্ম দিয়ে এখন সংবাদের শিরোনামে নেদারল্যান্ডসের এক স্পার্ম ডোনার। নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবার দায়ের করা হলো মামলা।  দ্য টেলিগ্রাফ

 অভিযুক্ত জোনাথন জ্যাকব মেইজের নামের এই ব্যক্তি দ্য হেগ শহরের বাসিন্দা।  বিভিন্ন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইউরোপের এই দেশটির অন্তত ১১টি ক্লিনিক জোনাথন জ্যাকবের কাছ থেকে স্পার্ম নিয়েছে বলে জানা গেছে।  এর ফলে তার ঔরসজাত সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে! 

অভিযুক্ত ৪১ বছর বয়সী মেইজের পেশায় মিউজিশিয়ান এবং কেনিয়ার বাসিন্দা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেছেন এক ডাচ নারী। তার সন্তানের জন্মদাতাও মেইজের। ওই ডাচ নারীর পাশাপাশি আরও ২৫টি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলেছে দেশটির ডোনার কাইন্ড ফাউন্ডেশন।

নেদারল্যান্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, একজন স্পার্ম ডোনার সর্বোচ্চ ১২ জন নারীকে স্পার্ম ডোনেট করতে পারবেন এবং ২৫টি সন্তানের জন্মদাতা হতে পারবেন। এই নিয়ম ধার্য করার অন্যতম কারণ হলো- মানসিক।  

ডাচ স্পার্ম ক্লিনিক গাইডলাইন অনুযায়ী, সন্তানরা যদি ভবিষ্যতে কোনোভাবে তারা জেনে যায় যে, তাদের আরও শতাধিক ভাইবোন আছে, তাহলে তারা মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারে।  

তাই অভিযুক্ত জোনাথন জ্যাকব মেইজেরকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তিনি তার স্পার্ম ডোনেশনের কাজ বন্ধ রাখেন। এই আবেদন রেখেই আদালতে মামলা রুজু করেছে ডাচ ডোনার কাইন্ড ফাউন্ডেশন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, জোনাথন জ্যাকব এ পর্যন্ত কোন কোন ক্লিনিকে স্পার্ম ডোনেট করেছেন- সে বিষয়ে সংস্থাটি তার কাছে জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি তার যে স্পার্মগুলো হিমায়িত করে রাখা হয়েছে, সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

যদিও জানা গেছে, এই স্পার্ম ডোনারের কাজ নেদারল্যান্ডসেই সীমাবদ্ধ না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অবাধ বিচরণ তার। কাজ করেন একাধিক দেশের স্পার্ম ব্যাংকের সঙ্গেও। ইউক্রেন ও ডেনমার্কেও বহু দম্পতিকে সন্তানের স্বাদ দিয়েছেন তিনি। তাই তাকে ইতোমধ্যেই নেদারল্যান্ডসে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান টাইস ভ্যান ডার মীর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার কিছুই করছে না বলে আমরা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি বড় আন্তর্জাতিক স্পার্ম ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করেন।

এদিকে, জোনাথন জ্যাকবের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ ডাচ তরুণী ইভা। বলেছেন, যদি তিনি জানতেন জোনাথন ইতোমধ্যেই কয়েকশো সন্তানের জন্মদাতা! তাহলে কখনোই তিনি স্পার্ম ডোনার হিসেবে তাকে বেছে নিতেন না। 

এমএএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়