জাফর খান: দেশটির সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি খারিজ করে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগটি বহাল রেখেছেন। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তহবিল মালয়েশিয়া ডেভোলেপমেন্ট ব্যাংকের (আইএমবিডিবি) ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে নজিব রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, এখান হতে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তার একাউন্টে জমা পড়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিল। রয়টার্স
এর আগে গত বছর দেশটির আদালত দুর্নীতির অভিযোগের জন্য তাকে ১২ বছরের জেল প্রদান করেছিলেন। তবে ৬৯ বছর বয়সী নজিব নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাখান করেন।
এপি জানিয়েছে, ফেডারেল আদালতের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। পাঁচজনের মধ্যে চার বিচারপতিই ন্যায় বিচারের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। বিচারপতি ভের্নন অং বলেন, তার এই পরিণতির জন্য তিনিই দায়ি। এসময় নজিবের পক্ষে নতুন করে সাক্ষীগ্রহণের আবেদনটিও খারিজ করে দেন আদালত। তিনি জানান চারজন বিচারপতি তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।
২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে হারলাভের পর ২০২০ সালে দেশটির উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে এস আর সি ইন্টারন্যাশনাল নামক প্রতিষ্ঠান হতে ১০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আল-জাজিরার ফ্লোরেন্স লুই এক প্রতিবেদনে জানান, আইএমবিডিবি কেলেংকারি শুধু বিশ্বকেই নয় একইসঙ্গে দেশটির জনগণকেও করেছে বিস্মিত ও হতভম্ব। রাজনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই সাধারণ মানুষ তাকে ভোট দিয়েছিলেন বলেও তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নজিবের স্ত্রী রোসমাহ মনসুরার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।