শিরোনাম
◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৪ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : আরমান হোসেন

রাশিয়ায় শিশুকন্যা যুদ্ধবিরোধী  ছবি আঁকায় বাবার কারাদণ্ড

মাশার আঁকা ছবি

সালেহ্ বিপ্লব: ঘটনার শুরু গত বছরের এপ্রিলে, অ্যালেক্সেই মসকালেভের মেয়ে মাশার বয়স তখন ১২। অপটু হাতেই অসাধারণ এক ছবি এঁকেছিলো সে। ছবিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পতাকা। রাশিয়ার মিসাইল ছুটে যাচ্ছে ইউক্রেনের দিকে। সেখানে দাঁড়ানো এক তরুণী মা ও তার শিশুকন্যা। মা তার বাম হাত তুলে রাশিয়াকে থামার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর এই ছবিতে ইউক্রেনের পতাকায় জয়ধ্বনি লেখা; রাশিয়ার পতাকায় লেখা আছে, যুদ্ধকে না বলো। এই ছবিটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো মসকালেভ পরিবারের জন্য। বিবিসি 

পরিবারটি থাকে মস্কো থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, ইয়েফ্রেমভ শহরে। যতোটা ধারণা করা গেছে, মাশার স্কুল থেকে ছবিটির ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়েছিলো। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের অপরাধে অ্যালেক্সেই মসকালেভকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর গত ডিসেম্বরে তার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধে মামলা হয় মাশার বাবার বিরুদ্ধে।

মামলার পর পরই বাবা ও মেয়েকে আলাদা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। মাশাকে একটি চাইল্ড হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১ মার্চ থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার বাবাকে রাখা হয় গৃহবন্দী। তিনি কোনো এক সুযোগ সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার তার অনুপস্থিতিতেই আদালত তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপর শুরু হয় নতুন করে তাকে খোঁজার অভিযান। 

মাশার বাবা মোবাইল বন্ধ করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বেলারুশ চলে গিয়েছিলেন। মিনস্কে গিয়ে তিনি কোনো জরুরি প্রয়োজনে ফোন ওপেন করেছিলেন। বেলারুশ পুলিশ তখন অবস্থান শনাক্ত করে অ্যালেক্সেইকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ধরার ব্যাপারে সাহায্য চেয়ে রাশিয়া আগেই বেলারুশকে অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলো। 

এদিকে রায়ের পর টাউন কাউন্সিলর ওলগা পদলস্কেয়া বলেন, মত প্রকাশের জন্য এমন শাস্তি যেনো দুঃস্বপ্ন! 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়