রাশিদুল ইসলাম: রাজপ্রাসাদ ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের পরিণতি কঠিনভাবে উপলব্ধি করতে হচ্ছে প্রিন্স হ্যারিকে। ব্রিটেনে ফিরেছেন আদালতে মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে। দেশে ফিরে প্রিন্স হ্যারি খোঁজ করলেন তার বাবা কিং চার্লসের। বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ থেকে যুবরাজকে বলে দেওয়া হয়েছে রাজা ব্যস্ত। ডেইলি মেইল
কিং চার্লস তার ফ্রান্স সফর বাতিল করেছেন। প্যারিসে পেনসন সংস্কারে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠার জন্যে। তবে রাজা এখন ব্যস্ত জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার সময়সূচি নিয়ে। তাই ছোট ছেলে দেশে ফিরে এলেও তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মেলেনি তার। অর্থাৎ এ যাত্রা প্রিন্স হ্যারির বাবার সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগ নেই। বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়ে আছে। স্পেয়ার নামে বইতে প্রিন্স হ্যারি তার শৈশবের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেওছেন তাকে উইলিয়ামের মারধরের কথা।
প্রিন্স হ্যারির বাবা রাজা চার্লস বুধবার জার্মানিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার আগে তার গ্লৌচেস্টারশায়ারের বাড়ি হাইগ্রোভ থেকে কাজ করছেন। হ্যারির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি মিডিয়াকে জানিয়েছে যে প্রিন্স হ্যারি যে এসময় ব্রিটেনে থাকবেন তা জানাতে তিনি তার বাবার সাথে ‘যোগাযোগ করেছেন’, তবে তাকে বলা হয়েছে যে রাজা ‘ব্যস্ত’।
তার ভাই, প্রিন্স অফ ওয়েলস, পরিবার থেকে দূরে রয়েছেন কারণ তার সন্তানরা ইতিমধ্যে ইস্টারের ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। তারা উইন্ডসরের রাজকীয় এস্টেটের অ্যাডিলেড কটেজে থাকে, ফ্রোগমোর কটেজ থেকে অল্প হাঁটা, পাঁচ বেডরুমের বাড়ি যেটি হ্যারি এবং মেগানকে আগামী জুনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যারি ব্রিটেনে এসে সেই বাড়িতে উঠেছেন কি না জানা যায়নি। তবে হাইকোর্টে তার দায়ের করা মামলার শুনানিতে ঠিকই হাজির হয়েছিলেন।
বাকিংহাম প্যালেসের একটি সূত্র জানায় কোনো মানুষই তাকে নিয়ে ‘কৌতুক’ করতে চায়নি। রানী এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর থেকে রাজপরিবারের কারো হ্যারির সঙ্গে কথা বলার সময় হয়ে ওঠেনি।