মিহিমা আফরোজ: ইউক্রেনকে এভাবে ভয়াবহ মারণাস্ত্র সরবরাহ করায় ন্যাটোর নিন্দা জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। এর প্রেক্ষিতে গত সোমবার তিনি বলেন, ক্রিমিয়া আর কখনোই ইউক্রেনের অংশ হবে না। তার এই কথার সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। ডেইলি মেইল
গত সোমবার, ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ। এ সময় তিনি বলেন, আমি ইউক্রেনে যে কোনো ধরনের মারণাস্ত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে। এটি শুধু যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে তা নয়, তারা এখন রাশিয়াকে বিভক্ত করে ফেলার কথা বলছে। এটা পুরোপুরি পাগলামি। মঙ্গলবার তার এই কথার প্রেক্ষিতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো বলেছেন, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টে রীতিমতো ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তার এই বক্তব্যকে আমরা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার দখল করা বিশাল ভূমি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ক্রিমিয়াকেও আবার ইউক্রেনের অংশ করা হবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্রিমিয়া কখনোই আর ইউক্রেনের অংশ হবে না। আমরা যা করছি তা পুরোপুরি অনৈতিক। জার্মানির ট্যাংক রাশিয়া ও চীনকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। আমি চাই ক্রোয়েশিয়া এই সংঘাত থেকে দূরে থাকুক। এই সংঘাতে কোনো ধরনের অংশগ্রহণ ঝুঁকিপূর্ণ।
রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে নিজের আপত্তির বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ এসব মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেনে পশ্চিমা নীতির সোচ্চার সমালোচক প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ বলেছেন, তিনি চান না ইউক্রেনে ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিণতির মুখোমুখি হোক তার দেশ। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ
এমএ/আইএস