শিরোনাম
◈ ইতালিতে কড়া অভিবাসন নীতি, টার্গেটে বাংলাদেশিরা! ◈ তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল? ভিডিও প্রকাশ্যে ◈ সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ◈ রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ◈ সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম ◈ মানবিক করিডর নিয়ে সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখেছে : মেজর হাফিজ ◈ ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা ◈ যেভাবে আটক হন সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ (ভিডিও) ◈ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া হল

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৩:০৮ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৩:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আশঙ্কা পরিবারের 

ইরানে গ্রেপ্তার র‌্যাপারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে

তোমাজ সালেহি

খালিদ আহমেদ: ইরানে চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ায় গ্রেপ্তার র‌্যাপার তোমাজ সালেহিকে  মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তার পরিবার। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে,দেশটিতে সুপরিচিত এই র‌্যাপার ইরান সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছিলেন। এর জেরে গত মাসের শেষের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এএফপি

সালেহির পরিবার বলছে, বিচারের জন্য শনিবার (২৬ নভেম্বর) তাকে রুদ্ধদ্বার আদালতে তোলা হয়েছে। তার জীবন এখন ঝুঁকিতে। কারণ, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

হিজাব না পরার অভিযোগে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশি হেফাজতে মারা গেলে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মাহসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ রুখতে দমন-পীড়ন জোরদার করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ইন ইরান নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন টুইটারে বলেছে, ভিন্নমতাবলম্বী র‌্যাপার তোমাজ সালেহির ‘বিচারের’ প্রথম দিন ছিল শনিবার (২৬ নভেম্বর)। এদিন তেহরানে অনুষ্ঠিত এই তথাকথিত বিচারে তার পছন্দের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। 

সালেহির পরিবার টুইট করে বলেছে, তার জীবন এই মুহূর্তে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ, তিনি ‘স্রষ্টার বিরুদ্ধে শত্রুতা’ এবং পৃথিবীতে দুর্নীতিসহ শরিয়াহ্–সম্পর্কিত অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। আর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে এগুলোকে সর্বোচ্চ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

সালেহি গত মাসের শেষের দিকে নিখোঁজ হন। ২ নভেম্বর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার রেকর্ড করা একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তোমাজ সালেহি। আমি বলছি, আমি ভুল করেছি।’ অধিকারকর্মীরা এই রেকর্ড করা ভিডিওর নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা একে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারো মানুষ। এ ছাড়া বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কেএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়