রাশিদুল ইসলাম: জিওবুক নামে রিলায়েন্সের ল্যাপটপে ফোর জি সিম কার্ড থাকবে যাতে এটি স্কুল ও ভারতের সরকারি ইনস্টিটিউটগুলো ব্যবহার করতে পারে। এটি হবে ভারতে সবচেয়ে সস্তা ল্যাপটপ।
ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গলা কাটা দামের অফার দিয়ে ব্যবসায় বাধা দেওয়ার জন্য পরিচিত। কিন্তু ২০১৬ সালে সস্তা ফোর জি ডেটা প্ল্যান এবং বিনামূল্যে ভয়েস পরিষেবা সহ ২টি মোবাইল বাজারে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মোবাইল ফোন গুলোর দাম ছিল মাত্র ৮১ডলার। এবার যে ল্যাপটপ বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে রিলায়েন্স তাকে বলা হবে জিওবুক। ভবিষ্যতে এতে ফাইভ জি সেবা যুক্ত করা হবে।
ভারতে জিও ৪২০ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক সেবা দিয়ে বৃহত্তম টেলিকম ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ অনুসারে, জিও ফোন হল ভারতের সর্বোচ্চ বিক্রিত স্মার্টফোন যার দাম ১শ ডলারের নিচে, গত তিন ত্রৈমাসিকে বাজারের এক পঞ্চমাংশ দখল করে রেখেছে জিও। ভারতের স্মার্টফোন বিক্রির ৯শতাংশ যোগান দেয় জিও।
জিওবুক জিও অস অপারেটিং সিস্টেমে চলবে এবং এ ল্যাপটপে মাইক্রোসফটের কিছু অ্যাপও পাওয়া যাবে। এটি আর্ম লিমিটেডের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কোয়ালকম চিপ ব্যবহার করবে। ল্যাপটপটি এসার, লেনেভো এবং ভারতীয় ফার্ম লাভার কাছ থেকে সীমিত সংখ্যক অফারগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা ভারতে কিছুটা প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে পারে কারণ দেশটিতে মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ চালিত ল্যাপটপগুলি প্রাধান্য পায়।
বর্তমানে এইচপি এবং ডেল ভারতে ল্যাপটপ বাজারে প্রাধান্য পাচ্ছে। বার্ষিক ১৪ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রয়ে ভারতের এ বাজার যা জিওবুকের ল্যাপটপ সংযোজনের সাথে আরও ১৫ শতাংশ প্রসারিত হতে পারে। জিওবুক লাপটপ স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করে আগামী মার্চের মধ্যে লক্ষাধিক সেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে রিলায়েন্স কে কে আর এন্ড কো ইঙ্ক এবং সিলভার লেকের মতো বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে।