খালিদ আহমেদ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইউক্রেনের অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেবে না। ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাকে সামনে রেখে বাইডেন এসব কথা বলেছেন। বিবিসি
আজ শুক্রবার ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেবেন পুতিন। এমন সময়ে এ চার অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, যখন এসব এলাকা উদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন।
ক্রেমলিন বলেছে, সম্প্রতি হওয়া গণভোটে লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা এ গণভোটকে ধোঁকাবাজি হিসেবে উল্লেখ করে এর ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের অঞ্চলকে যুক্ত করা নিয়ে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলছি, যুক্তরাষ্ট্র কখনো, কখনো, কখনোই ইউক্রেনের সার্বভৌম অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার দাবিকে স্বীকৃতি দেবে না।’
বৃহস্পতিবার জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দুটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন পুতিন। এর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলগুলোকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার দুয়ার খুলে যায়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নথিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদে উল্লিখিত বিধির সঙ্গে সংগতি রেখে দুই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শক্তি প্রয়োগের মধ্য দিয়ে কোনো দেশের ভূখণ্ড দখল করে নেওয়াটা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এটিকে ‘বিপজ্জনক সম্প্রসারণ’ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, আধুনিক বিশ্বে এ ঘটনার কোনো জায়গা নেই।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও রুশ প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। এক মুখপাত্র বলেছেন, এরদোয়ান রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেছেন তিনি যেন ইউক্রেনের সঙ্গে উত্তেজনা কমান এবং ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনাকে আরেকটি সুযোগ দেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ঘরে করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :