শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে? ◈ পর্তুগালের নতুন আইন, অভিবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ  ◈ নির্বাচনের তফসিল এখনো চূড়ান্ত নয়—গণমাধ্যমকে সতর্ক করলেন ইসি সচিব ◈ ব্রাদার্স ইউ‌নিয়ন‌কে ৫-১ গো‌লে হারা‌লো বসুন্ধরা কিংস  ◈ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়  'ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ'  ◈ একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট: প্রস্তুত ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ৮ হাজারের বেশি ◈ কাতার নয়, খালেদার জন্য জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ◈ চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে: মির্জা ফখরুল ◈ দুর্যোগ মোকাবিলায় ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা শক্তিশালী করতে সরকারের নতুন পরিকল্পনা

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:২৬ বিকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নজরদারি ব্যবস্থা চালু

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: ট্রাম্প প্রশাসন অস্থায়ী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নজরদারি ব্যবস্থা চালু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট 'অনলাইন উপস্থিতি' যাচাই প্রক্রিয়া আরও বিস্তৃত করছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নোটিশে জানানো হয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এইচ-১বি দক্ষ কর্মী ভিসা (এইচ-১বি) আবেদনকারী এবং তাদের নির্ভরশীল এইচ-৪ (এইচ-৪) আবেদনকারীদের অনলাইন উপস্থিতির পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক করা হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিজিটর শ্রেণির আবেদনকারীরাও একই ধরনের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় থাকবেন। যাচাই প্রক্রিয়া সহজ করতে এইচ-১বি, এইচ-৪ এবং এফ, এম, ও জে ভিসা ক্যাটাগরির সকল আবেদনকারীকে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রাইভেসি সেটিং 'পাবলিক রাখতে বলা হয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ভিসা স্ক্রিনিংয়ে তারা সকল উপলব্ধ তথ্য ব্যবহার করে থাকে, বিশেষ করে যারা জাতীয় নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। প্রতিটি ভিসা অনুমোদনকে তারা “জাতীয় নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত” হিসেবে বিবেচনা করে এবং বলেছে, 'মার্কিন ভিসা অধিকার নয়, এটি একটি সুযোগ।'

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

সর্বশেষ নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ দক্ষ কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ভিসা ক্যাটাগরিগুলোকেই লক্ষ্য করছে। প্রযুক্তি কোম্পানিসহ বিভিন্ন নিয়োগকর্তা বিদেশি দক্ষ কর্মী আনার প্রধান পথ হলো এইচ-১বি ভিসা। অন্যদিকে এফ-১, এম-১ ও জে-১ ভিসা শিক্ষার্থী, পেশাগত প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতাভুক্ত, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালে ১৫ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে।

নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরেই তীব্র মতবিরোধ দেখা গেছে। প্রশাসন ফি বৃদ্ধি ও 'প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল' সহ কঠোর পদক্ষেপ সমর্থন করছে, কিন্তু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও কিছু রিপাবলিকানদের মতে এই প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা রক্ষার জন্য অপরিহার্য এবং স্টেম খাতে কর্মী সংকট পূরণে গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসাতেও একই প্রবণতা। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর কয়েক মাসের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি এফ-১ ভিসা বাতিল হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কলেজসমূহ সতর্ক করেছে, এমন কঠোর নীতি স্থানীয় অর্থনীতি ও ক্যাম্পাস বাজেটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট বাধ্যতামূলকভাবে ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হওয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নজরদারি এবং আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, মানবাধিকার সংগঠন ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

একই সঙ্গে নতুন এই নিয়ম দেখায়, ট্রাম্প যুগে অভিবাসন নীতি কতটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। অনলাইন পোস্ট, রাজনৈতিক মত, প্রতিবাদ বা সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ভিসা আবেদনকারীরা নিরাপত্তা বা মতাদর্শগত ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়ে ভিসা বাতিল বা জটিলতার মুখে পড়তে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়