শিরোনাম
◈ একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল ◈ যেই দ্বীপে বাড়ি কিনলেই মিলবে নাগরিকত্ব! সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাসপোর্টে মিলছে বৈশ্বিক সুবিধা ◈ বকেয়ায় কয়লা আমদানি করতে না পারায় বন্ধের পথে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র! ◈ থানার সামনের পুকুরে সিজুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় (ভিডিও) ◈ সাইবার হামলার হুমকিতে রাশিয়া এরোফ্লোট এয়ারলাইন্স, ডজনখানেক ফ্লাইট বাতিল ◈ ভারতে মুসলিমরা এখন ‘ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু’ , রাজ্য নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে মুসলিমদের উচ্ছেদ ও বহিষ্কার ◈ আগামী ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ ◈ ডকুমেন্ট সত্যায়নের ভোগান্তি কমেছে, মাসে দেড় লাখ নথি সত্যায়ন, এপোস্টিলে যেভাবে কাজ হয় ◈ ক্ষতিপূরণ পেতে অপেক্ষার প্রহর গুণছে ছাতক গ্যাসক্ষেত্র! ◈ বৃষ্টি-জোয়ারে চলাচলের সড়ক বিচ্ছিন্ন, দূর্ভোগে ২০ হাজার বাসিন্দা

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

শুধুমাত্র আ‌মে‌রিকার কার‌ণে ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকে আছে: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

এল আর বাদল : আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর হোয়াইট হাউসের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে কারণ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকাকে তাদের অস্তিত্বের একমাত্র কারণ বলে মনে করেন। --- পার্টসটু‌ডে 

মার্কিন সংবাদপত্র "ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল" আরও জানায়, একজন পদস্থ মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন: "ইসরাইলের সাথে হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রয়েছে এবং নেতানিয়াহুর ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে, কারণ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানেন যে আমেরিকাই কার্যত ইসরাইলের অস্তিত্বের একমাত্র কারণ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে: সমস্যা দেখা দিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সরাসরি কথা বলেন। সম্প্রতি, গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনী একটি ক্যাথলিক গির্জায় আক্রমণ করার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেন এবং একটি বিবৃতি জারি করে কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করতে বলেন।

আমেরিকার ওই সংবাদপত্রে মুদ্রিত প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে: কিন্তু গির্জার ওপর আক্রমণের মতো সাম্প্রতিক আগ্রাসনের কারণে ইসরাইলের এক নম্বর মিত্রের কাছ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড দমনে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে: সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়া এবং গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন বা MAGA আন্দোলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থনের সমালোচনা উল্লেখযোগ্যভাবে তীব্রতর করেছে।  তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন যে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আগের চেয়ে আরও বেশি আঞ্চলিক যুদ্ধে টেনে আনবেন।

চলতি মাসে, ইসরাইলি বাহিনী দামেস্কে সিরিয়ার সেনা সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোমা হামলা চালিয়ে বলেছে: তারা দ্রুজ সংখ্যালঘুদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে রক্ষা করেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বিশ্লেষণ করেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন ইহুদিবাদী ইসরাইলের কিছু আগ্রাসনে বিরক্ত, অন্যদিকে মার্কিন সরকার নিজেই ইসরাইলের আগের সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং তাদের সকল অপরাধের জন্য মার্কিন সরকার দায়ী।

মার্কিন এই সংবাদপত্রটি আরও লিখেছে: সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরাইলের সাহসী অবস্থান আংশিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থনের ফল। জুন মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় যোগদানের ব্যাপারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রথমবারের মতো উভয় পক্ষকে এক যুদ্ধে একত্রিত করেছে। যার ফলে ইসরাইলকে ধারণা দেওয়া হয় যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করে এবং আমেরিকা তাদের সফরসঙ্গী।

বারাক ওবামার আমলে ইসরাইলে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান শাপিরো বলেন, "সিরিয়া এবং গাজায় সাম্প্রতিক বোমা হামলার ফলে উত্তেজনা এতো তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে যে আমেরিকার পক্ষ থেকে অসংখ্য বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং ইসরাইলি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।"

আমেরিকার সংবাদপত্রটি জানিয়েছে: ট্রাম্প প্রশাসন পূর্বে গাজা এবং লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইলি পদক্ষেপের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছিল। গত মাসে ইরানে নেতানিয়াহুর আক্রমণের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। কিন্তু সিরিয়ার ক্ষেত্রে, প্রশাসন প্রাথমিকভাবে আহমেদ আল-শার-এর মতো চরমপন্থীদের সাথে ইসরাইলি সম্পর্কে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ওই উদ্বেগের পরই আমেরিকা ইসরাইলকে লাল সংকেত দেয়।

ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতিকে সমর্থনকারী রক্ষণশীল ম্যাগাজিন আমেরিকান কনজারভেটিভের নির্বাহী পরিচালক কার্ট মিলস বলেছেন: তিনি ইসরাইলকে আরও বেশি যুদ্ধের পথে ঠেলে দিচ্ছেন এবং আমেরিকাকেও আরও যুদ্ধে জড়াচ্ছেন। নেতানিয়াহু যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তিনি সাহসী, কিংবা বলা ভালো অহংকারী হয়ে ওঠেন এবং আমেরিকাকে বলেন তাকে যেন সমর্থন করে। এর ফলে একটি কঠিন রকমের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়