শিরোনাম
◈ শাপলা প্রতীক নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক! ◈ যুক্তরাষ্ট্র ফেরত টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ◈ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সম্মেলন ঘিরে বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ◈ সাম্প্রতিক বন্যায় গোমতীর চরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, কৃষকের মাথায় হাত ◈ বিরলে কিশোরকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন,থানায় মামলা দায়ের ◈ ফরিদপুরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ৫ জনকে আটক  ◈ পরকীয়া প্রেমিকের ঘরে উঠতে না পেরে স্বামীর নামে যৌতুক মামলা ◈ মুজিববাদী সংবিধানের নতুন পাহারাদার বিএনপি, পটুয়াখালীতে নাহিদ ইসলাম ◈ কাপাসিয়ায় এক রাতে কৃষকের ৮ গরু চুরি, আতঙ্কে কৃষকরা ◈ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শতাধিক ড্রোন নিয়ে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মিয়ানমারে উলফার ক্যাম্পে, হামলার দাবি ভারতের অস্বীকার

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) মিয়ানমারে অবস্থিত ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় সংগঠনটির অন্তত তিন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরের দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই হামলা চালায় বলে দাবি করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠী। 

উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের জাতিগত, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া কিছু এলাকায় ভারতীয় বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যদের ঘাঁটি রয়েছে। 

মিয়ানমারে উলফার ঘাঁটিতে ভারতের সামরিক বাহিনীর এই হামলার বিষয়ে একাধিক বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। আসাম রাজ্যের স্বাধীনতার দাবিতে কয়েক দশক ধরে লড়াই চালিয়ে আসা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) বলেছে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম দফার ড্রোন হামলায় তাদের একজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত ও আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন।

সংগঠনটি বলেছে, দ্বিতীয় দফার হামলায় তাদের আরও দু’জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় উলফার আরও অনেক সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। উলফা বলেছে, মিয়ানমারের গহীন জঙ্গলে উলফার পাশাপাশি পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নামের আরেকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে।

ভারতের যে কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালিয়ে আসছে তাদের মধ্যে উলফা অন্যতম। এই সংগঠনটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের স্বাধীনতা চায়। আর পিএলএ মণিপুর রাজ্যের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করছে।

যদিও ২০২৩ সালে উলফা একটি অংশ ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায়। ওই চুক্তির পর সংগঠনটি অস্ত্র ত্যাগের ঘোষণা দেয়। গত কয়েক বছরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহীদের হামলার সংখ্যা অনেক কমেছে। তারপরও গত তিন দশকে এ ধরনের সহিংসতায় দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়