ইসলামী বিশ্বের নেতা, পণ্ডিত এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে একটি শক্তিশালী বিবৃতি দিয়েছেন ইরানের সুন্নি বুদ্ধিজীবী এবং অভিজাতদের একটি দল। এতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ইরানের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রশংসা করেছেন এবং ক্রমবর্ধমান পশ্চিমা আগ্রাসনের মুখে ব্যাপক ইসলামী প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সুন্নি পণ্ডিতরা এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে কেবল একটি ভূ-রাজনৈতিক মোড় হিসেবেই নয় বরং কুফরের (কুফর) উপর ইসলামের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।
‘‘এটি দাম্ভিকতা ও নিপীড়নের বৈশ্বিক ফ্রন্টের বিরুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের এবং প্রকৃতপক্ষে গোটা ইসলামী উম্মার একটি বিজয়,’’ বলা হয় বিবৃতিতে।
পণ্ডিতরা ইহুদিবাদী সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশটিকে এই অঞ্চলে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চাপিয়ে দেওয়া একটি ‘‘ক্যান্সারযুক্ত টিউমার’’ হিসাবে বর্ণনা করেন। তারা আল-কুদসে ইহুদিবাদীদের অব্যাহত দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে তাদের দৈনন্দিন অপরাধের নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সরকারের অবৈধ অস্তিত্ব নিরপরাধ মানুষের রক্তপাতের উপর নির্ভর করে।
৭ অক্টোবর গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ এর কথা উল্লেখ করে আলেমরা তরুণ যোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তারা শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ, শহীদ সাইয়্যেদ হাশেম সাফি আল-দিন, শহীদ ইসমাইল হানিয়া এবং শহীদ ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার সহ বিশিষ্ট প্রতিরোধ ব্যক্তিত্বদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ব্যক্তিরা কেবল আল-আকসা মসজিদ এবং নির্যাতিত বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতেই শহীদ হয়েছেন।
সুন্নি চিন্তাবিদরা ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, অন্যান্য মুসলিম দেশগুলি শীঘ্রই একই ধরণের হুমকির মুখোমুখি হতে পারে। “এটি আর কোনও একক জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় এটি ইসলামী বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সভ্যতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে।” সূত্রঃ তেহরান টাইমস