শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২৫, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘চিকেন নেক’র কাছে সামরিক মহড়া ভারতের

ভারতের সামরিক বাহিনী তাদের ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ সম্প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে, যার নামকরণ করা হয়েছিল ‘তিস্তা প্রহার’।

গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে শনিবার (১০ মে) অর্থাৎ তিনদিন ধরে যে জায়গায় মহড়াটি সম্পন্ন হয়েছে, সেটি ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছেই। অর্থাৎ ভারতের মানচিত্রে মাত্র ১৭ কিলোমিটার চওড়া যে সরু অংশটি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাকি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গুয়াহাটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিস্তা প্রহার এক্সারসাইজে নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর ‘যৌথ কম্ব্যাট স্ট্র্যাটেজি’ এবং (যুদ্ধের) প্রস্তুতি কতটা, সেটাই প্রদর্শিত হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই মহড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতাই আরও একবার ‘ভ্যালিডেট’ (বৈধতা দেওয়া) করেছে – যা তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘তিস্তা প্রহারে’র যে সব ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এই মহড়ায় আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এই মহড়াকে ঠিক ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলা যাবে না। কারণ, তিস্তার অববাহিকায় এই মাপের সামরিক মহড়া কিন্তু সাম্প্রতিক কালের মধ্যে কখনোই হয়নি।

লন্ডনভিত্তিক জিওপলিটিক্যাল বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার মনে করছেন, এই সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে।

এই বিশ্লেষক বলেন, ‘এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম প্ররোচনার উপাদানও হয়তো আছে, যেটা অবশ্যই বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে খুশি করবে না।’ উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়