শিরোনাম
◈ সারাদেশে ৫০০-এর বেশি ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে: এনআইডি ডিজি ◈ চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা: স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন ◈ বহুমূখি সংকটে দেশের শিল্প খাত ◈ সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে ◈ আবারও বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট (ভিডিও) ◈ এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১৭ শতাংশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে ◈ দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, ডিএমপির ১০ নির্দেশনা ◈ নিউজিল্যান্ড এ’ দলকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ ◈ বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের ৬ মা‌সের চু‌ক্তি ◈ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের দুরাবস্থা বাংলা‌দেশ দ‌লের, অবস্থান দশম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে হত্যা করা ব্যক্তির ৫৩ বছরের কারাদণ্ড

২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে হত্যা করা ব্যক্তির ৫৩ বছরের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৬ বছরের এক মার্কিন শিশুকে হত্যার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জোসেফ জুবা, বয়স ৭৩ বছর। ছোট্ট শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাউমিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার মা হানান শাহিনকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর শাহিন এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ। আদালত এ ঘটনাকে মুসলিমবিদ্বেষ থেকে ঘৃণাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর হানান এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ।

খাঁজকাটা প্রান্তের একটি সামরিক ছুরি দিয়ে ওয়াদেয়াকে ২৬ বার আঘাত করেছিলেন জোসেফ। ময়নাতদন্তের সময় ওয়াদেয়ার পেট থেকে ছুরির ৬ ইঞ্চি লম্বা ফলা বের করা হয়।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হানান শাহিন ও জোসেফের স্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) মেরি আদালতকে বলেছেন, গাজার সংঘাত নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠার পর জোসেফ মুসলিম পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০২৩ সালে জোসেফ জোর করে শাহিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ওই নারী কোনোমতে দৌড়ে শৌচাগারে ঢুকে দরজা আটকে পুলিশকে ফোন দেন। সে সময়ে জোসেফ ৬ বছরের ওয়াদেয়াকে আক্রমণ করেন।

বিচারক অ্যামি বার্টানি-টমজাক ওয়াদেয়াকে হত্যার দায়ে জোসেফকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া শাহিনের ওপর হামলার অপরাধে ২০ বছর ও বিদ্বেষমূলক অপরাধে আরও ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। জোসেফকে ধারাবাহিকভাবে এই কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০২৩ সালের এ ঘটনার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই হামলাকে ‘ভয়ংকর ঘৃণার কাজ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন ও বলেছিলেন, ‘আমেরিকার মাটিতে এমন কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়