শিরোনাম
◈ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা আইনের আওতায় আনার পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো ◈ দুদকের অনুসন্ধানের জালে এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তা ◈ গুমে সেনা সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা: সেনাসদর (ভিডিও) ◈ ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস ◈ পরিবর্তন অনিবার্য, আর কাউকে ক্ষমা করা হবে না: নাহিদ ইসলাম ◈ এবার তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ফেসবুকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস ◈ সৌদি আরবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ‘থাড’ স্থাপন হলো ◈ টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ বিএনপির, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার দাবি ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ: আলোচনায় একাধিক বিকল্প ◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:১৮ দুপুর
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ইউনূস খুবই সতর্ক : ডিপ্লোম্যাট

দি ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তানপন্থী বা পাকিস্তান বিরোধী নয় বলে অভিহিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন ড. মুনিস আহমার মনে করেন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ইউনূস খুবই সতর্ক হয়ে আগাচ্ছেন। তিনি বলেন, অবশ্যই সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চলছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা ইউনূসের বৈদেশিক নীতিতে একটি সমান হস্তান্তর পদ্ধতি চায়। কোনো দেশের দিকে ঝুঁকতে চান না ইউনূস। পাকিস্তান মনে করে এটা খুবই ইতিবাচক কিছু।

ডিপ্লোম্যাটে এ সাক্ষাৎকারে মুনিস আহমার বলেন, হাসিনার নাটকীয় পতনের পর থেকে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। যাই হোক, পরিস্থিতি যতটা দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে জটিল, ১৯৭১-এর ঘটনা- পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছর- একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি বা ভাঙতে পারে। উপরন্তু, ইতিহাস সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের পক্ষে বা পাকিস্তানবিরোধী মনোভাবগুলোর বর্ণনাগুলোও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মুনিস আহমার। তবে তিনি মনে করেন, হাসিনার পতন এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশের আপাতদৃষ্টিতে খারাপ হওয়া সম্পর্ক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে পারে। গত ১৫ বছরে, শেখ হাসিনার সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বা উন্নত করার জন্য উন্মুক্ত ছিল না।

এমন অভিমত দিয়ে মুনিস আহমার বলেন, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কয়েকবার শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীও তার সাথে দেখা করেছিলেন। তবে হাসিনার পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। দেখে মনে হয়েছিল যে তার সরকার পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ বা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী নয়। এখন তার প্রস্থানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সুযোগ অবশ্যই আছে। তবুও ইউনূসের শাসন থেকে খুব বেশি আশা করছেন না মুনিস আহমার।

এর কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকেও খুুব ভঙ্গুর দেখায় এবং এটি ইতোমধ্যেই নিজস্ব বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এর বৈধতাও প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকে যুক্তি দেখান যে কোনো শাসনব্যবস্থা যদি নিজেকে বৈধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাহলে তাকে গণভোট বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হবে। তা না হলে সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। নয়া দিগন্ত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়