সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে এ ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা
[৩] মন্ত্রণালয় জানায়, রাফাহ’র নিরাপদ তাঁবু শহরের আশ্রয় নেওয়ার বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশুরা এ ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ শিকার হয়। গণহত্যার চালানোর জন্য সেখানে ভয়াবহ অস্ত্রের হামলা চালায় ইসরায়েল। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।
[৪] ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অব্যাহতভাবে বোমাবর্ষণ করছে। এসব এলাকায় হামলা চলার মধ্যে রাফাহ’র তাল-আস-সুলতান এলাকার তাঁবুর শিবিরে এই হামলা চালাল বর্বর দেশটি। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, এসব এলাকায় হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
[৫] টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা দাবি করেছে যে, রাফাহ’য় হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে চালানো এ হামলায় ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও বলেছে, এ হামলায় কিছু বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন করছে।
[৬] গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আগ্রাসন ও গণহত্যায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন নিহত এবং আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপাপড়ে নিখোঁজ আছেন আরও ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :