ইমরুল শাহেদ: [২] সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
[৩] জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের উপ-প্রতিনিধি জাহরা এরশাদি এই জঘন্য অপরাধ এবং কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েল এই হামলার মাধ্যমে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।
[৪] জাতিসংঘ মহাসচিবের পশ্চিম এশিয়া এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী মোহাম্মদ খালিদ আল খাইয়ারি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন- কূটনীতি বা কনস্যুলার সম্পর্কিত সকল স্থান ও ব্যক্তিকে আক্রমণের বাইরে রাখার আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
[৫] সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। কারণ কূটনৈতিক প্রতিনিধিদেরকে সব পরিস্থিতিতেই আক্রমণের বাইরে রাখতে হবে।
[৬] জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের উপ-প্রতিনিধিও ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা লঙ্ঘন করছে।
[৭] জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার প্রতিনিধি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল এ ধরনের তৎপরতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রতি সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের সমর্থন বন্ধ করতে পারবে না। একই সঙ্গে গোলান মালভূমিকে দখলমুক্ত করার জাতীয় সিদ্ধান্ত থেকেও সিরিয়াকে সরানো যাবে না।
[৮] জাতিসংঘে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি বলেন, সুইস সরকার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার নিন্দা জানায়, কারণ এই ধরনের কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে উত্তেজনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
[৯] এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই দেশগুলো হামলার নিন্দা না জানিয়ে কেবল আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এসআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :