শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ! ◈ ভারত-পাকিস্তানকে ‘দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য’ কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ◈ অযথা হর্ন বাজালে চালকদের শাস্তির ঘোষণা, ঢাকার সিগন্যালে যুক্ত হচ্ছে এআই প্রযুক্তি ◈ ভারত থেকে ১০২ জনকে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় উত্তেজনা, সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চাইলেন জামায়াত আমির ◈ এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব ◈ এবার পাকিস্তানের লাহোরে একাধিক ‘বিস্ফোরণ’ (ভিডিও) ◈ আর্সেনালকে হা‌রি‌য়ে চ‌্যা‌ম্পিয়নস লি‌গের ফাইনালে পিএসজি ◈  ভার‌তের কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তান: শাহবাজ শরীফ ◈ মা‌র্কিন প্রেসি‌ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বল‌লেন, সর্বকা‌লের সেরা টুর্না‌মেন্ট হ‌বে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  ◈ রোহিত শর্মা আর টেস্ট ক্রিকেট খেল‌বেন না

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২৫, ০৯:৩৩ রাত
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

যৌথ বিনিয়োগে ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র বসাবে রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ফোন অপরেটর রবি, ফোলো সোলার ও গ্রিন পাওয়ার এশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। রবির নিজস্ব ব্যবহারের পর অবশিষ্ট বিদ্যুৎ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করবে। বুধবার রবির করপোরেট অফিসে ওই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন রবি আজিয়াটার চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহান এলহামি আহমেদ মেতাওয়েহ, ফলোসোলার সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাশেম, গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পেরিক মরির।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় রবির চিফ অব করপোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সেবাটা নিরবিচ্ছিন্ন ও পরিবেশ বান্ধব করে তোলা। রবি নেট জিরোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সাল থেকে অনেক টাওয়ারে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। ৫ শতাংশ সাইটে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। সারাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির ৪২ হাজার মোবাইল টাওয়ারের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১০০ মেগাওয়াটের মতো। তবে বর্তমানে রবির নিজস্ব চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট। এখানে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করবে রবি। যদিও চলমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে। আর পুরো চাহিদা গ্রিন এনার্জি দিয়ে রিপ্লেস করতে বদ্ধপরিকর থাকবে রবি। 

রবি আজিয়াটার চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহান এলহামি আহমেদ মেতাওয়েহ বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের নেট জিরো কার্বন ইমিশন পলিসিতে দারুণভাবে সহায়ক হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ৬৮ হাজার ২০০ টন কার্বন ইমিশন কমে আসবে।

ফলোসোলার সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাশেম বলেন, আমাদের কোম্পানি ৪০০ মেগাওয়াট থেকে ১০০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখানে সরকারের প্রস্তাবিত মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি খুব সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৩টি সাইট নিয়ে কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকার আশপাশে একটি। স্থান নির্ধারণ হলে চুড়ান্ত চুক্তি করা হবে। বিদ্যুতের দাম কতো হবে সে বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া বিনিয়োগের উপর নির্ভর করবে উৎপদন খরচ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে যৌথ মালিকানায়। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুততার সঙ্গে স্থান নির্ধারণ পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। তবে এখনও কোনো অথরিটির অনুমোদন নেইনি। বাংলাদেশ মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি প্রণয়ন করছে। সেই পলিসির আওতায় অথরিটির অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে রবি, ফোলো সোলার ও গ্রিন পাওয়ার এশিয়ার বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়