শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাগরে ভাসছে জাহাজ, ভেতরে মাছের খামার! (ভিডিও)

সমুদ্রের মাঝখানে ভাসমান কার্গো জাহাজের ভেতরে মাছের খামার—এই দৃশ্যটি এখন আর কল্পনা নয়, বরং চীন এটিকে বাস্তব করে তুলেছে। যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগানোর কৌশল নিয়ে ভাবছে, তখন চীন ইতিমধ্যেই সেখানে গড়ে তুলেছে ভবিষ্যতের খাদ্য বিপ্লব। এই অভিনব পদ্ধতির নাম Ship-Based Aquaculture বা জাহাজভিত্তিক মাছ চাষ, যা গভীর সমুদ্র খাঁচায় জলজ চাষ (Deep-Sea Cage Aquaculture সংক্ষেপে- ডিএসসিএ)-এর একটি অংশ।

চীনের এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান প্রতীক হলো বিশালাকার জাহাজ গুওক্সিন ১। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৪৫ মিটার এবং প্রস্থে ৪৫ মিটার এই জাহাজটি দেখতে কার্গো ভেসেলের মতো হলেও এটি আসলে একটি ভাসমান ফিশ ফার্ম। এর ভেতরে রয়েছে একাধিক মাছ চাষ ইউনিট এবং স্বয়ংক্রিয় জল ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। সমুদ্রের পানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশ করে এবং বেরিয়ে যায়, ফলে মাছের ট্যাঙ্কে সর্বদা তাজা ও অক্সিজেনসমৃদ্ধ পানি থাকে।

এই ভাসমান খামারের মূল চালিকাশক্তি হলো উন্নত প্রযুক্তি। প্রতিটি মাছ চাষ ইউনিটে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর ও ক্যামেরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সিস্টেম তাৎক্ষণিক পানির তাপমাত্রা, অক্সিজেনের মাত্রা বা খাবারের ভারসাম্য বুঝে নেয়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে দেয় কখন খাবার দিতে হবে, কখন জল পরিবর্তন করতে হবে এবং কোথায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। যেন এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ফিশ ফ্যাক্টরি, যেখানে মানুষের উপস্থিতি সীমিত হলেও নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি প্রযুক্তির হাতে।

এই জাহাজভিত্তিক মাছ চাষের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো এর স্থান পরিবর্তন করার সক্ষমতা। জাহাজগুলো এক জায়গায় স্থির থাকে না; প্রয়োজন অনুসারে নিরাপদ স্থানে সরে যায়। যদি কোনো এলাকায় ঝড় ওঠে, পানির মান নষ্ট হয়, বা তাপমাত্রা বেশি ওঠানামা করে, পুরো জাহাজকেই সরিয়ে নেওয়া হয়। এর ফলে চাষ হয় নিরাপদ এবং ক্ষয়ক্ষতি হয় কম। এটি প্রমাণ করে যে, চীন এখন সমুদ্রের গতিশীল পরিবেশকেও চাষের জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।

চীন এই ধারণাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে বায়ু শক্তি + জলজ চাষ প্রকল্পে যুক্ত করেছে। অর্থাৎ, একই প্ল্যাটফর্মে উপরে বিশাল উইন্ড টারবাইন ঘুরছে, যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, আর নিচে চলছে মাছ চাষ। এই সমন্বিত শক্তি ও খাদ্য উৎপাদনের প্ল্যাটফর্ম পৃথিবীতে এই প্রথম।

বর্তমানে চীন Deep-Sea Cage Aquaculture (ডিএসসিএ) থেকে বছরে এক মিলিয়নেরও বেশি টন মাছ উৎপাদন করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এটির চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্ক করেছেন। গভীর সমুদ্রের ঢেউ, প্রবল স্রোত ও ঝড় এই বিশাল জাহাজগুলোর জন্য বড় পরীক্ষা। এছাড়া পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যেন এই চাষ থেকে সমুদ্র দূষণ না বা বাড়ে। সূত্র: আটিভি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়