স্পোর্টস ডেস্ক : সাদমান ইসলাম এবং আইচ মোল্লার ঝড়ো ব্যাটিং এবং আবু হায়দার রনি ও শহিদুল ইসলামদের অসাধারণ বোলিংয়ে সিলেটকে ২৩ রানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। মৌসুমে এটি ঢাকা মেট্রোর দ্বিতীয় জয়। পয়েন্ট টেবিলে দলটি তিন নম্বরে।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে মেট্রো। ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান তোলে দলটি। যদিও বেশি ভালো করতে পারেননি মাহফিজুল ইসলাম রবিন। ২৩ বলে ১৮ রান করে নাবিল সামাদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
এক ওভার পর নাইম শেখকে ফেরান আসাদুল্লাহ আল গালিব। ব্যাকফুটে পাঞ্চ করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাইম। মেট্রোর অধিনায়ক ফেরার আগে করেন ৩২ বলে ৩৬ রান।
তারপর ১০১ রানের জুটি গড়েন সাদমান ও আইচ। দুই উইকেটে ৬০ রান থেকে দলকে ১৬১ রানে নিয়ে যান এই দুজন। ৩৩ বলে দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন আইচ।
তবে ভাগ্য খারাপ সাদমানের। হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ৩২ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ রান করে ১৯.৪ ওভারে বিদায় নেন সাদমান। ইবাদত হোসেনের বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি।
মেট্রো থামে তিন উইকেটে ১৬১ রানে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। ৫৬ রানের মধ্যে দলটির দুই ওপেনারকে বিদায় করেন শহিদুল। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুবিন আহমেদ দিশান (১৬)।
জাকির হাসান কাট করতে গিয়ে দেরি করে ক্যাচ দেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। দলীয় ১০০ রান তোলার আগে আরো দুই উইকেট হারায় দলটি। আইচের শর্ট ডেলিভারি লং অফে ওড়াতে গিয়ে ফিরে যান ২৩ বলে ২৪ রান করা খালিদ হাসান।
মারুফ মৃধার বলে একইভাবে মারতে গিয়ে ফিরে যান অমিত হাসানও। তিনি করেন ১৬ বলে ২৪ রান। এরপর আর সুবিধা করতে পারেনি দলটি। আসাদুল্লাহ ১৪ বলে ২৩ এবং রেজাউর রহমান রাজা ১১ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান।
সিলেটের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান করে। ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন শহিদুল। দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার এবং মারুফ।