স্পোর্টস ডেস্ক : গত সপ্তাহে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতাকে হারিয়েছে ফুটবল বিশ্ব। জোতার ভাই আন্দ্রে সিলভাও পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। কি ঘটেছিলো সেদিন স্পেনের সেই রাস্তায়, কেই বা চালাচ্ছিলো ল্যাম্বরগিনি— সেসব নিয়েই কাটা-ছেঁড়া করছে স্পেনের পুলিশ। তাদের বিশ্বাস, দুর্ঘটনার সময় নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চালানো হচ্ছিলো গাড়িটি।
দেশটির সিভিল গার্ড জানিয়েছে, জোতা ও তার ভাইয়ের গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গাড়িটি জোতা চালাচ্ছিলেন। স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ-৫২ মহাসড়কে স্থানীয় সময় সকালে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। মহাসড়কের এই অংশে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। তবে তাদের বিশ্বাস, জোতা অতিরিক্ত দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। চাকা ফেটে তাদের ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। পরে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
সিভিল গার্ডের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনের সঙ্গে গাড়ির একটি চাকার ছাপ ফেলে যাওয়াও পরীক্ষা করা হয়েছে। সড়কে যে গতিসীমা, তার চেয়ে বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতি ইঙ্গিত করছে সবকিছু। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা গেছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন দিয়োগো জোতা।
তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে জামোরার পুয়েবলা দে সানাব্রিয়া আদালতে। পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্পেনের উত্তরাঞ্চলের শহর সান্তান্দরে যাচ্ছিলেন জোতা। ফেরি ধরে সেখান থেকে ইংল্যান্ডে গিয়ে লিভারপুল সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার।
উল্লেখ্য, মৃত্যুর কিছুদিন আগে ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করানোয় জোতাকে বিমানে ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছিলেন তার চিকিৎসক। গত ৫ জুলাই জোতা ও সিলভার জন্মশহর পোর্তোতে সমাহিত করা হয়েছে তাদের।