স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে এশিয়া কাপের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তবে টুর্নামেন্টের সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক তাদের চ্যানেলগুলোয় এশিয়া কাপের বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে কয়েকদিন ধরে।
তখনই ধারণা করা গিয়েছিল, এশিয়া কাপ বোধহয় মাঠে গড়াবে। কারণ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সবুজ সংকেত না পেলে সনির বিজ্ঞাপন প্রচার করা কথা নয়। এবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট দিলো সুখবর। তারা জানিয়েছে, এশিয়া কাপ নিয়ে বড় আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক বিরোধের জেরে যা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে পরের সপ্তাহে। জুলাইয়ের শুরুতেই ৬ দলের এই প্রতিযোগিতার সূচি ঘোষণার আশা রয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)।
সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াতে পারে এবারের এশিয়া কাপ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ২০ ওভারের ফরম্যাটে হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াই।
টুর্নামেন্টে সব দলই অংশগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এশিয়া কাপে অংশ নেবে। তবে টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক ভারত হলেও হাইব্রিড মডেলে হবে এশিয়া কাপ। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারত ও পাকিস্তান সমঝোতা করেছে কেউ কারো দেশে খেলতে যাবে না। সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ম্যাচ হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
পেহেলগাম হত্যাকান্ডের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তখন ভারতের অনেক সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো খেলায় ম্যাচ বয়কটের আহ্বান করেছিল। তবে সেই উত্তেজনার বরফ গলেছে। তাই এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া বানিজ্যিক কারণেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক সম্প্রচার ১৭ কোটি মার্কিন ডলারে (২০৭১ কোটি টাকা) চার আসরের স্বত্ব কেনার সময় এসিসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছিল যে প্রতিটি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকবে। দল দুটি যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।