স্পোর্টস ডেস্ক ; শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারও আভাস মেলেনি কোন দলটি জিতবে বলে, দুই দলেরই সমান পারফরমেন্স, তবে বার্সেলোনা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বেশি, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান ম্যাচটি দারুণ নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হল। বৃহস্পতিবার (১ মে) বার্সেলোনার ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি।
রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে যেন সবুজ গালিচায় ফুল ফোঁটালেন দুই দলের ফুটবলাররা। আক্ষরিক অর্থেই একটি দুর্দান্ত ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করলেন গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমী জনতা। তবে শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ ফলাফল নিয়ে।
এদিন শুরু থেকেই জমে এই হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালের লড়াই। আর ঠিক ম্যাচ শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গোল পেয়ে যায় ইন্টার মিলান। খেলার ১ মিনিটের মধ্যেই, মার্কাস থুরামের গোলে লিড নেয় ইন্টার। শুরু হয়ে যায় সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে এত আগে গোল হতে পারে তা হয়ত কেউ ভাবতেই পারেনি।
তবে পাল্টা লড়াইতে ফিরে আসার চেষ্টা করে বার্সেলোনাও। লামিনে ইয়ামাল থেকে র্যাফিনহা কিংবা ডি জং, লাগাতার আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন ইন্টার রক্ষণের উপর। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলতে থাকে দুই দলের মধ্যে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে, ফ্রি-কিকও পায় বার্সেলোনা। কিন্তু মার্টিনের নেওয়া সেই ফ্রি-কিক থেকে বিপদ কিছু ঘটেনি।
কিন্তু খেলার ২১ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে দুরন্ত ব্যাকভলিতে গোল করে যান ডেনজেল ডামফ্রিজ। সেইসাথে ম্যাচে ইন্টার মিলান এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
কিন্তু বার্সেলোনাও যে হাল ছাড়ার পাত্র নয়। খেলার ২৪ মিনিটে, লামিনে ইয়ামাল ম্যাজিক শুরু। ডানপ্রান্ত দিয়ে গতি বাড়িয়ে ইন্টার ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন বক্সে এবং বাঁ-পায়ের জোরালো শটে গোল করে যান এই ম্যাজিক বয়। আর সেই গোলের সুবাদেই ২-১ এ দাঁড়ায় ম্যাচের ফলাফল।
খেলার ৩৮ মিনিটে, পেদ্রির ঠিকানা লেখা ক্রস দক্ষতার সঙ্গে রিসিভ করে অনবদ্য গোল করে যান ফেরান টোরেস। আর সেই গোলের সুবাদেই ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ আরও নাটকীয় মোড় নেয়। খেলার ৬৩ মিনিটে, কর্নার থেকে আসা বলে দুরন্ত স্পট জাম্প দিয়ে হেডে অনবদ্য গোল করে যান সেই ডেনজেল ডামফ্রিজ। গোটা ম্যাচে তিনি আলাদামাত্রায় ছাপ রাখেন এদিন এবং তাঁর এই গোলের সুবাদেই ইন্টার এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।
তবে সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে, দানি অল্মো বাঁদিক থেকে একটি কর্নার নেন এবং বল বাড়ান বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়ামালের দিকে। এরপর ইয়ামাল এই বলকে নিয়ে র্যাফিনহাকে পাস বাড়ান। আর সেই বল পেয়ে, দূরপাল্লার জোরালো শট নেন র্যাফিনহাকে। কিন্তু সেভ করতে গিয়ে নিজের জালেই বল জড়িয়ে দেন ইন্টার গোলকিপার সমার। ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। খেলার ফলাফল তখন হয়ে যায় ৩-৩।