স্পোর্টস ডেস্ক ; আগের দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত চার উইকেট হারানোয় বড় লিডের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে তাইজুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়ে দলকে ঠিকই দুইশ রানের বেশি লিড এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। --- অলআউট স্পোর্টস
বুধবার চট্টগ্রামে বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ৪৪৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ১০৪ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মিরাজ। এর আগে দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
মেঘলা আকাশের নিচে তাইজুলকে নিয়ে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন মিরাজ। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই তাকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু মিরাজের গ্লাভসে লাগা বল ধরে রাখতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার। তবে এরপর তাদের আর কোনো সুযোগ দেননি এই দুই ব্যাটার।
দিনের দশম ওভারে তাইজুল অধৈর্য হয়ে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরলে অষ্টম উইকেটে ৬৩ রানের জুটিটি ভাঙে। এরপর তানজিমকে নিয়ে লিড বাড়াতে মনোযোগ দেন মিরাজ। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন তানজিমও। নিজের অভিষেক ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটার ছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর রিভার্স-সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নবম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি।
এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ২ হাজার রান করার ও দুইশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন মিরাজ। মাইলফলক স্পর্শ করতে ডানহাতি এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৫৩ টেস্ট। সব মিলিয়ে টেস্টে ২৬তম ক্রিকেটার হিসেবে এই ডাবলের কীর্তি গড়েন তিনি। নিজের ৫৪তম টেস্টে দেশের হয়ে সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
তানজিমের বিদায়ের পর ১৪৩ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন মিরাজ। তাকে স্টাম্পিং করিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টেনে অভিষেক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা।