অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে জুমার নামাজ আদায় করেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশের এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে কাকরাইল সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। ওই সড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীরা নামাজ আদায় করেন। নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় নাগরিক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ।
এদিকে জুমার পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পাশে মিন্টুরোডের পানির ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি, শিবির, ইনকিলাব মঞ্চ, চরমোনাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার সকাল থেকে যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করণ ও শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
যমুনার আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনো চলছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
ছাত্র-জনতার স্লোগানে উঠে এসেছে, ‘বাহ ইন্টেরিয়াম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’; ‘লীগ ধর, জেলে ভর’; ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’; ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’; ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। দুপুরে যেহেতু সমাবেশ তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে যমুনার সামনের সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
যমুনার আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।