চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানাতে উত্তরা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কাতারের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি দেশে ফিরছেন। খালেদা জিয়ার ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে সড়কগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সকাল থেকে মিনি ট্রাক, বাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থকসহ উৎসুক জনতাকে সড়কে অবস্থান নিতে দেখা যায়। কেউ পতাকা নিয়ে, কাউকে আবার মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করতেও দেখা গেছে। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মোড়, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীনসহ বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে দলীয় নেত্রী প্রত্যাবর্তন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।
জনসমাগম ঘিরে ভ্রাম্যমাণ হকারদের ছিল সরব উপস্থিতি।
বিএনপির দলীয় পতাকা ও মাথার ব্যান্ড নিয়ে সড়কে নেমেছেন তারা। হকারদের উপস্থিতি থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় সড়কের দু'পাশে নিত্যপণ্যের ভ্রাম্যমাণ হকারদের দেখা যায়নি। এছাড়াও মূল সড়কে উঠতে দেওয়া হয়নি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অন্যদিকে বুধবার উত্তরার মার্কেট ও শপিংমলগুলো সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। ফলে সড়কে ছিল না জনসাধারণের বাড়তি চাপ।
সড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়াতে না দেওয়া, সড়কে মানুষের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যানজট নিরসনে পুলিশের কঠোর ভূমিকা দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদেরও।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজার সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, ‘দেশনেত্রী ফিরছেন- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।’ কেউ কেউ মুঠোফোনে ফেসবুক লাইভে আছেন ফিরোজার সামনে থেকে।
রাজনীতির মাঠে খালেদা জিয়ার এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কারও কাছে এটি মাইনাস টু তত্ত্বের ব্যর্থতা, কারও কাছে এটি শুধু একজন নেত্রীর ঘরে ফেরা নয়—একটি রাজনৈতিক বার্তা।