শিরোনাম
◈ ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন মাইলফলক: সার্টিফিকেট সত্যায়ন এখন অনলাইনেই (ভিডিও) ◈ রাতের আকাশে আগুন! ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে ইসরায়েল ◈ ইসরায়েলে আঘাত করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাজ্যে 'সরকারি সফর' থেকে কী অর্জন হলো ◈ ইরানে বিদ্রোহের ইঙ্গিত সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভির: ইসরায়েল-যুদ্ধ পরবর্তী ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনার আভাস ◈ ভুটানসহ আরও ৩৬ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, বাকি দেশ গুলোর নাম হলো ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল কারণ যা জানাগেল! ◈ ইরান প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু ◈ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য করোনা সংক্রমণ রোধে বিশেষ নির্দেশনা ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪২ বিকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এইচ-ওয়ানবি ও এফ-ওয়ান ভিসা কী? জেনে নিন

বিদেশে ভ্রমণ অনেকেই করেন। কেউ স্থায়ীভাবে আবার কেউ অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বিদেশ যান। আবার পর্যটক ভিসা নিয়েও অনেকে বিদেশে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে কিছু বিশেষ ভিসা আছে যা আমাদের সকলের জানা দরকার। যেমন - এইচ-ওয়ানবি ভিসা ও  এফ- ওয়ান ভিসা।

এইচ-ওয়ানবি ভিসা:  H-1B ভিসা হলো একটি অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের জন্য দিয়ে থাকে। এটি সাধারণত তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি), ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, ফিনান্স, মেডিকেল এবং অন্যান্য বিশেষায়িত পেশায় কাজ করতে ইচ্ছুক পেশাদারদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।

H-1B ভিসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো: মেয়াদ: সাধারণত ৩ বছর দেওয়া হয়, যা সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়।

স্পন্সর: আবেদনকারী নিজে আবেদন করতে পারে না, একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি তাকে স্পন্সর করতে হয়।

যোগ্যতা: আবেদনকারীর কমপক্ষে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়।

গ্রিন কার্ডের সম্ভাবনা: অনেকে H-1B ভিসা থেকে গ্রিন কার্ড (স্থায়ী বসবাসের অনুমতি) পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

H-1B ভিসার সীমাবদ্ধতা: প্রতি বছর সীমিত সংখ্যক H-1B ভিসা ইস্যু করা হয় (সাধারণত ৮৫,০০০টি)।

লটারি সিস্টেম এর মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়, যার কারণে সবাই ভিসা পায় না।

H-1B ভিসাধারীরা স্পন্সর করা কোম্পানি পরিবর্তন করতে চাইলে নতুন ভিসার আবেদন করতে হয়।

এই ভিসাটি উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারে প্রবেশের অন্যতম প্রধান উপায়।

F-1 ভিসা: 

F-1 ভিসা হলো যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া স্টুডেন্ট ভিসা, যা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের পূর্ণকালীন শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়।

F-1 ভিসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: উদ্দেশ্য: যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল বা ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে পড়াশোনা করা।যোগ্যতা: আবেদনকারীকে স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে তার পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান রয়েছে।

কাজ করার নিয়ম: ক্যাম্পাসের ভেতরে সীমিত সময়ের জন্য কাজ করা যায় (প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা)।

OPT (Optional Practical Training) বা CPT (Curricular Practical Training) নিয়ে পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময় কাজ করার সুযোগ থাকে।

মেয়াদ: কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈধ থাকে, তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হয় বা অন্য ভিসায় পরিবর্তন করতে হয়।

F-1 ভিসার সীমাবদ্ধতা: যুক্তরাষ্ট্রে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম চাকরি করা যায় না, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট নিয়মে কাজ করা সম্ভব।

পড়াশোনা শেষ করার পর H-1B কর্মসংস্থান ভিসায় পরিবর্তন করা লাগে যদি যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি করতে চান।

স্পন্সর প্রয়োজন হয় না, তবে অর্থনৈতিক সামর্থ্য প্রমাণ করা লাগে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়