শিরোনাম
◈ নোবেলজয়ী থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান: জন্মদিনে নতুন অধ্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে এবার ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ◈ বাংলাদেশের সাথে আলোচনায় বসতে চায় ভারত, উদ্দেশ্য কী? (ভিডিও) ◈ ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, সেই জায়গায় নির্মিত হবে জুলাই ‘গণমিনার’ ◈ শিরীন শারমিন চৌধুরী কোথায়, তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: গোলাম মাওলা রনি (ভিডিও) ◈ সরকার নতুন ৩ দিবসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে ◈ চরভদ্রাসন থানায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে আটককৃত ৩০ টি মোটরসাইকেল ◈ রায়পুর বণিক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টের ◈ আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম! ◈ এক লাখ টাকা করে বিশেষ অনুদান পাচ্ছে দেশের ১০১ স্কুল-কলেজ, দেখে নিন তালিকা

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:১৭ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এর চেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলোয়াড় কি পৃথিবীতে আর হয়!

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: সকালে দেখি খবরের কাগজে অনলাইনে সবখানেই কয়েকটা ছবি উজ্জ্বল হয়ে আছে। আমাদের মেয়ে সানজিদার ছবি। সানজিদা আমাদের জাতীয় দলে ফুটবল খেলে, দক্ষিণ এশিয়া কাপ জিতেছি আমরা ওর নেতৃত্বে। ওর ছবি তো কাগজে আসবেই, এটা আবার ঘটা করে বলার কী আছে! আছে। শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী লাল হলুদ জার্সিতে ফুটবল পায়ে আমাদের সানজিদা কলকাতার মাঠে। কলকাতার মাঠে এই তিনটা ক্লাবের কথা সকলেই জানেন, ইস্টবেঙ্গল, মোহামেডান আর মোহনবাগান। ঐতিহ্যগতভাবে ইস্ট বেঙ্গল হচ্ছে বাঙালদের ক্লাব, মোহনবাগান ঘটিদের আর মোহামেডান তো বুঝতেই পারছেন মুসলিমদের ক্লাব। সেই কলোনিয়াল সময় থেকেই ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের দ্বন্দ্ব সেটা ছিলো কলকাতার মাঠে ঘটি আর বাঙালদের মধ্যকার চিরায়ত দ্বন্দ্বের প্রকাশ। 

ব্যালেরিয়ান মতো নিপুণ ভারসাম্যে মাঠে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পায়ে বল নিয়ে দৃঢ় পায়ে এগোয়ে যাচ্ছে ঢাকার মেয়ে সানজিদা, হাওয়ায় উড়ছে ওর দিঘল কালো কেশÑ বেশ প্রতীকী ধরনের একটা ছবি নয়? ছবিটা যিনি তুলেছেন সেই ফটোগ্রাফারের নাম জানি না, প্রথম আলোতে ছেপেছে। আমার কাছে তো বেশ লাগছে দেখতে। ইসবেঙ্গলের হয়ে ঢাকার খেলোয়াড়রা আগেও খেলেছে, নারীদের দলে এই প্রথম। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কি জানেন, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠার পেছনের গল্পটিতেও পূর্ববঙ্গের একজন খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া না নেওয়া নিয়ে একটা গল্প আছে। সেসময় মোহনবাগান ক্লাবে একজন বাঙাল খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে স্থান না দেওয়ায় ঘটিদের উপর বিরক্ত হয় বাঙাল খেলোয়াড় কর্মকর্তারা। ওরা বুঝতে পারছিলো কেবল বাঙাল হওয়ার কারণেই এই অবজ্ঞা। সেই থেকে ওরা বাঙালদের জন্যে নয়া ক্লাবই প্রতিষ্ঠা করে ফেলেনÑ ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। 

এই ঘটি বাঙাল দ্বন্দ্ব হয়তো আগের মতো আর নেই। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আপনাদের অনেকের মনে থাকার কথা। ঘটি বাঙাল দ্বন্দ্বের প্রকাশ ওর কৌতুকেও ছিলো। এখন আপনি কলকাতায় গেলে বা বাংলাদেশে মাইগ্রেট করে যেসব ঘটি... ওদের সঙ্গে আলাপ করলে ঘটি বাঙাল দ্বন্দ্বের কথা টের পাবেন। ইতিহাসের কি কৌতুক দেখেন, শত বছর পরে এসে সেই ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের হয়ে এখন মাঠে নেমেছে কে? একটা বাঙাল মেয়ে। এই ছবিটা ভালো লেগেছে। ঘটি বাঙাল সেই পুরনো ঝগড়া এখন হয়তো আগের মতো আর তীব্র নেই। তবে আমি কিনা বুড়োদের দলে চলে গেছি প্রায়, আমার তো ঠিকই মনে আছে। আমি এই ছবি দেখি আর মনে মনে বলি, মোহনবাগানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েদের খেলা কি হবে না? সেই খেলায় যেন আমাদের সানজিদাকে মাঠে নামায় ওরা। আমরা এপার থেকে চেঁচাবো, যা মা, ঘটিদের একটু দেখিয়ে দিয়ে আয়। একটু কি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে? হোক। আমাদের মেয়েদের নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করবো না তো কি ঘটিরা করবে? ছবি নিয়েছি প্রথম আলো থেকে। দেখুন। কী সুন্দর ছবি। এর চেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলোয়াড় কি পৃথিবীতে আর হয়? ৩১-১-২০২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়